দেশদ্রোহিতার মামলায় কেজরিওয়ালের অনুমোদন, কানহাইয়া বললেন ‘ধন্যবাদ’

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার ধারায় মামলা চালিয়ে যেতে দিল্লি পুলিশকে অনুমতি দিয়েছে দিল্লির আম আদমি পার্টি সরকার। দীর্ঘ প্রায় এক বছর এই সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রেখেছিল দিল্লির আম আদমি রাজ্য সরকার।
অথচ ২০১৬ সালে টুইট করে এই কানহাইয়া কুমারের বক্তৃতার প্রশংসা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
গতকাল শুক্রবার রাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বাম নেতা কানহাইয়া কুমার অভিযোগ করে বলেন, এ বছর বিহারে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। এর আগে তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে।
কানহাইয়া বলেন, সরকার রাজনৈতিক খেলা খেলতে দেশদ্রোহিতা আইনের অপব্যবহার করছে। তিনি বলেন, ‘সময়টা দেখুন। লোকসভা নির্বাচনের আগে চার্জশিট ফাইল করা হলো (কানহাইয়া বিহারের বেগুসরাই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন)। আর এবার আমি বিহার নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। দেশের মানুষের জানা উচিত, কীভাবে দেশদ্রোহিতা আইনের অপব্যবহার হচ্ছে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য।’
আম আদমি পার্টি কেন সম্মতি দিল সে বিষয়ে বলতে গিয়ে কানহাইয়া বলেন, ‘আমি চাই, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের মাধ্যমে দ্রুত বিচার। এ ব্যাপারে আদালতে সিদ্ধান্ত হোক, টিভি স্টুডিওতে বিচারসভা বসিয়ে নয়।’
তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের সম্মতি দেওয়ার পর কানহাইয়া কুমার দিল্লি সরকারকে ‘ধন্যবাদ’ জানিয়ে টুইট করেছেন। তিনি আরো বলেন, ‘আমি কোনো জাতীয়তা বিরোধী স্লোগান দেইনি।’
এদিকে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র উমর খালিদ বলেন, ‘আমি মনে করি না বিষয়টা নিছক পদ্ধতিগত। দেশদ্রোহিতার মামলায় সরকারের অনুমোদন লাগে। দিল্লি সরকারের কৌঁসুলি জানিয়েছিলেন, অনুমতি দেওয়া হবে না। তাহলে পরিবর্তন হলো কেন?’
ছাত্রদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি জনসভা আয়োজনের অভিযোগ তোলা হয়, যেখানে তাঁরা জাতীয়তাবিরোধী স্লোগান তোলেন। জঙ্গি আফজাল গুরুর ফাঁসির বর্ষপূর্তিতে ওই জনসভা আয়োজিত হয়েছিল।
গত লোকসভা নির্বাচনে বেগুসরাই থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন কানহাইয়া কুমার। কিন্তু বিজেপির প্রার্থী এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের কাছে প্রায় চার লাখ ভোটে পরাজিত হন কানহাইয়া কুমার।