ধর্মগুরুর আশ্রমে আটক দুই তরুণী, আদালতে মা-বাবা

স্বঘোষিত ধর্মগুরু স্বামী নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে তাঁদের দুই কন্যাকে আটক করে রাখার অভিযোগ তুলেছেন এক দম্পতি। এ ঘটনার জেরে গতকাল সোমবার ওই দম্পতি একটি মামলাও দায়ের করেছেন ভারতের গুজরাট হাইকোর্টে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, ওই দম্পতি অভিযোগ, নিত্যানন্দের আশ্রমে আটকে রাখা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে। এ ঘটনার বিচার চাইতে ভুক্তভুগী কন্যাদের পিতা জনার্দন শর্মা ও তাঁর স্ত্রী সোমবার আদালতে যান।
সেখানে তাঁরা জানান, ২০১৩ সালে তাঁরা স্বামী নিত্যানন্দ পরিচালিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করেন তাঁদের চার মেয়েকে। তাঁদের বয়স সাত থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। কিন্তু পরে তাঁরা জানতে পারেন তাঁদের মেয়েদের ‘নিত্যানন্দ ধ্যানপীঠম’ নামের সেই প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিষ্ঠানের নাম ‘যোগিনী সর্বজ্ঞাপীঠম’।
আহমেদাবাদের দিল্লি পাবলিক স্কুলের কাছেই অবস্থিত ওই প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা তাঁদের সঙ্গে মেয়েদের দেখা করতে দেয়নি।
এরপর পুলিশের সাহায্য নিয়ে তাঁরা তাঁদের দুই নাবালিকা কন্যাকে প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্ধার করেন। কিন্তু বড় দুই মেয়ে লোপামুদ্রা (২১) ও নন্দিতা (১৮) এখনো সেখানেই আছেন বলে পিটিশনে জানানো হয়েছে।
ওই দম্পতির অভিযোগ, তাঁদের ছোট দুই মেয়েকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয়েছিল দুসপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে। তাদের ঠিকমত ঘুমোতেও দেওয়া হয়নি। তাঁরা এফআইআর দায়ের করেছেন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
তাঁরা আর্জি জানিয়েছেন, তাঁদের আটক দুই কন্যাকে উদ্ধার করার পাশাপাশি পুলিশ সেখানে আটক বাকি মেয়েদেরও উদ্ধার করুক।
গত বছরের জুন মাসে কর্নাটক আদালতে নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।