ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করেছিল কংগ্রেস, আমরা নই : অমিত শাহ

ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করেছিল। আজ সোমবার নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল নিয়ে বিরোধীদের প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে এমন মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, সংসদে বিরোধীদের দাবি ছিল, এই বিল সংবিধানে বর্ণিত সাম্য ও ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে অসঙ্গত। তখনই কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দেন অমিত শাহ।
কংগ্রেসকে উদ্দেশ করে অমিত শাহ বলেন, ‘কংগ্রেস ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ না করলে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের দরকার পড়ত না। কংগ্রেসই ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করেছিল, আমরা নই।’
আজ লোকসভায় বিলটি পেশ করার পর কংগ্রেস সাংসদরা আপত্তি জানিয়ে বলেন, এই বিল মুসলিমদের বিরুদ্ধে।
কিন্তু অমিত শাহ জোর দিয়ে বলেন, এই বিল ‘এমনকী ০.০০১ শতাংশ’ ভারতের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, প্রস্তাবিত আইন সংবিধানের কোনো অনুচ্ছেদের বিরোধী নয় এবং এতে একটি ‘যুক্তিযুক্ত বিভাজন’ রয়েছে।
সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা কোনো বাধা নয় জানিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘যুক্তিযুক্ত বিভাজন রয়েছে। আমি বিশ্বের সমস্ত আইন আলোচনা করে বলতে পারি যেখানে সাম্যের কথা বলা হয়েছে। যদি এভাবেই আমরা সাম্যের কথা বলতে চাই, তাহলে কেন তা আমরা যাদের সংখ্যালঘু বলি তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না? দয়া করে বলুন, সংখ্যালঘুরা কেন বিশেষ সংরক্ষণ পায় শিক্ষার মতো বিষয়ে?’
প্রসঙ্গত, সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা আইন ও আইনের রক্ষায় সমতার কথা বলে।
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল ভারতীয় সংবিধানের ছয় দশকের (১৯৫৫) পুরোনো একটি আইনকে সংশোধন করতে চাইছে। এর উদ্দেশ্য হলো পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া।
১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে বলা রয়েছে, ভারতে গত ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর বসবাস করলেই কেউ এ দেশের নাগরিকত্ব দাবি করতে পারে। সংশোধনী বিলে এই সময়সীমাকে অমুসলিমদের জন্য পাঁচ বছর করতে চাওয়া হয়েছে।
এদিন অমিত শাহ আরো প্রশ্ন তোলেন, ‘১৯৭০ সালে ইন্দিরা গান্ধী একটি সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ থেকে আগতদের নাগরিকত্ব দেওয়ার। কেন পাকিস্তানের মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়নি?’