নাগরিকত্ব আইন চালুর প্রক্রিয়া শুরু করল উত্তরপ্রদেশ সরকার

ভারতের বুকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) চালুর কাজ শুরু করল উত্তরপ্রদেশ সরকার। এরই মধ্যে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টান শরণার্থীদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। জানা গেছে, চিহ্নিতকরণের পরই তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে। এ চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীদেরও চিহ্নিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে রাজ্যটি।
উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (স্বরাষ্ট্র) অবনীশ অবস্থি জানিয়েছেন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের চিহ্নিত করতে রাজ্যের প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনেকে দশকের পর দশক ধরে রাজ্যে বাস করলেও নাগরিকত্ব পাননি। অবনীশ অবস্থি জানিয়েছেন, তুলনামূলকভাবে রাজ্যে আফগানিস্তান থেকে আসা মানুষজনের সংখ্যা কম। তবে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা বেশি সংখ্যক নিপীড়িত মানুষ এই রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
উত্তরপ্রদেশ সরকার প্রথমে শরণার্থীদের চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছে। এর মাধ্যমেই পরবর্তী পর্যায়ে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হবে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীরা মূলত উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্ণৌ, হাপুর, রামপুর, শাহজাহানপুর, নয়দা ও গাজিয়াবাদে রয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্য পুলিশের ডিজিপি সব জেলা পুলিশ প্রধানকে চিঠি দিয়ে নির্দেশ জারি করেছেন। সেখানে রাজ্যটির প্রতিটি প্রান্তিক জেলার সব অঞ্চল ও সীমান্তবর্তী এলাকায় ভালো করে খোঁজ খবর নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে দুটি তালিকা সুষ্ঠুভাবে তৈরি করা যায়।
শরণার্থীদের তালিকা আপাতত উত্তরপ্রদেশ সরকারের হাতে থাকবে। আর অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা তুলে দেওয়া হবে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে।