নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মোদি সরকারকে নোটিশ জারি করলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে নোটিশ জারি করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে জমা পড়েছিল ৬০টি পৃথক আবেদন। সে আবেদনগুলোর ভিত্তিতে আজ বুধবার এক যৌথ শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই শুনানি চলাকালেই মোদি সরকারকে এ-সংক্রান্ত নোটিশ ইস্যু করেছেন সুপ্রিম কোর্ট।
তবে নোটিশ জারি করলেও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রণয়নের ওপর স্থগিতাদেশ দেননি আদালত। এ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আসছে জানুয়ারিতে। আজ বুধবার ভারতের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে এ আবেদনের শুনানি হয়। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা ছিলেন বিআর গাভাই ও সূর্যকান্ত। আবেদনকারীদের মধ্যে আছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ ও আসামে ক্ষমতাসীন বিজেপির সহযোগী দল আসাম গণপরিষদ।
গত সপ্তাহে ভারতীয় সংসদের উভয়কক্ষেই পাস হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। এর পর ১২ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ভারতের রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে বিলটি পরিণত হয় আইনে। তবে আইনে পরিণত হলেও এটিকে মানতে নারাজ বিরোধী দলগুলো। পাশাপাশি কয়েকটি অবিজেপিশাসিত রাজ্য এরই মধ্যে জানিয়েও দিয়েছে, তারা এই আইন প্রণয়ন করবে না।
এদিকে রাজনীতির উত্তাপ ছড়িয়েছে রাজপথে এবং ভারতের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একাধিক আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে।
নতুন এই আইনের শর্ত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ বা তার আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে যেসব অমুসলিম শরণার্থীরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, পার্সি বা জৈন ধর্মের যে ব্যক্তিরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে থেকে ভারতে বসবাস করেছেন, তাঁরা ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। বিলটি গত সপ্তাহের সোমবার ৩১১-৮০ ব্যবধানে লোকসভায় পাস হয়। এর পর গত বুধবার রাজ্যসভায় এটি পাস হয় ১২৫-৮২ ভোটের ব্যবধানে।