নাগরিকত্ব আইন সমর্থন করুন, বিক্ষোভ সামলাতে মাঠে নামলেন মোদি

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) পাস হওয়ার সময় তিনি সংসদে ছিলেন না। পাসের পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও সাংসদদের ধন্যবাদ জানানো ছাড়া তেমন সক্রিয়তা দেখাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তবে দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জেরে শেষ পর্যন্ত রামলীলা ময়দানে মুখ খুলেছিলেন তিনি। তার পরও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে বহু প্রশ্ন দেশটির মানুষের মনে।
এমন পরিস্থিতিতে ফের ময়দানে নামলেন প্রধানমন্ত্রী। সাধারণ মানুষকে এই আইনকে সমর্থনের আহ্বান জানালেন টুইটারে। ধর্মীয় গুরু সাধুসন্তদের বার্তা শেয়ার করে মন জয়ের চেষ্টা করলেন দেশবাসীর।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা যদিও মনে করছেন, সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে সহজে যে ড্যামেজ কন্ট্রোল সম্ভব নয়, সেটা বুঝেই এবার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ময়দানে নামলেন প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমবার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি ‘#ইন্ডিয়াসাপোর্টসিএএ’ দিয়ে সমর্থনের আর্জি জানিয়ে লিখেছেন, ‘এই আইন সমর্থন করুন, কারণ এটা অত্যাচারিত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়।’
একই সঙ্গে নমো অ্যাপে গিয়ে সিএএ সংক্রান্ত ভিডিও, খবর ও অন্যান্য সব কিছু কীভাবে জানা যাবে, তাও জানিয়েছেন তিনি। আবার অন্য একটি টুইটার হ্যান্ডল থেকে সদগুরু যাজ্ঞী বাসুদেবের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, শিখ ও পার্সি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
কিন্তু সমালোচকরা মনে করেন, এভাবে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া সংবিধানের সমানাধিকারের বিরোধী। এ ছাড়া আইন পাস হওয়ার পর থেকেই মুসলিম সম্প্রদায়ের সিংহভাগ এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ। নাগরিকত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন তাঁরা।
বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে, নতুন এই নাগরিকত্ব আইন কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং বিশাল সংখ্যার শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দিতে।
কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। বিজেপি তথা কেন্দ্রের অভিযোগ, কংগ্রেসসহ কিছু বিরোধী দলের ইচ্ছেকৃত ভুল তথ্য প্রচার করার জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।