নেপালের মানচিত্রে বিতর্কিত তিনটি অঞ্চল অন্তর্ভুক্তির তীব্র প্রতিবাদ ভারতের

ভারত ও নেপালের মধ্যে বিতর্কিত অঞ্চলকে নিজেদের অংশ বলে দেখিয়ে নতুন ম্যাপ প্রকাশ করেছে নেপাল। নেপালের এ পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতের কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, 'নয়াদিল্লি গোটা বিষয়টিকে একেবারেই সমর্থন করছে না। নেপালের এ কাজ নিয়ে ভারত যে অসন্তুষ্ট, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছে ভারত। ফলে নেপাল ও ভারতের (সম্পর্কের) মধ্যে ভাঙন তৈরি হতে শুরু করেছে।'
অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, 'নেপালের এ নতুন ম্যাপ একেবারেই বাস্তবসম্মত নয়। কোনো তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এটা তৈরি করা হয়নি। ভারত ও নেপালের মধ্যে যে আলোচনার রাস্তা খোলা ছিল, তাকে জটিল করে ফেলল এ ম্যাপ।'
গত শনিবার ভারতের কালাপানি, লিমপিয়াধুরা ও লিপুলেখ এ তিনটি অংশকে নিজেদের বলে দাবি করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে নেপাল সরকার। নেপালের জাতীয় আইনসভার নিম্নকক্ষে সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব পাস করিয়ে নেয় নেপাল সরকার।
এরই মধ্যে গত শুক্রবার ভারতের বিহার-নেপাল সীমান্তে নেপালি পুলিশের গুলিতে এক ভারতীয় যুবকের মৃত্যু ঘটে। সে উত্তেজনার মধ্যেই নতুন বিতর্কিত মানচিত্র প্রকাশ করে নেপাল।
গতকাল শনিবার নেপালের ২৭৫ আসনবিশিষ্ট নিম্নকক্ষে নতুন মানচিত্র-সংক্রান্ত বিলের পক্ষে ভোট পড়ে মোট ২৫৮টি। সংবিধান সংশোধনী এ বিল পাস করতে বিশেষ অধিবেশন ডাকে নেপাল পার্লামেন্ট। বিরোধী দল নেপাল কংগ্রেসও সে বিল সমর্থনে সম্মতি দেয়।
এ বিল পাস হওয়ার ফলে স্বভাবতই কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়বে ইন্দো-নেপাল সম্পর্কের মধ্যে। এদিকে ভারত-নেপাল সীমান্ত নিয়ে নেপালের বাড়বাড়ন্তের পেছনে অন্য কোনো শক্তি কাজ করছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ভারতের সেনাপ্রধান।
ভারতের সেনাপ্রধান এম নারভাবে বলেন, 'নেপালের এ আস্ফালনের পেছনে রয়েছে প্রত্যক্ষভাবে চীনের মদদ। কাঠমান্ডু ও নয়াদিল্লির মধ্যে সুসম্পর্কে চিড় ধরাতে চাইছে চীন। সেই পথেই হেঁটে বেইজিং চাইছে কোনো একটি ইস্যুকে সামনে এনে ভারতের বিরুদ্ধে নেপালকে উসকে দিতে।'