পশ্চিমবঙ্গের নৈহাটিতে বড় বিস্ফোরণ, কেঁপে উঠল গঙ্গার এপার-ওপার
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার নৈহাটিতে একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের তীব্রতায় ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে আজ শুক্রবার দুপরে। বিস্ফোরণের জেরে উড়ে যায় যে বাড়িতে কারখানা, তার ছাদ। আগুন ধরে যায় বাড়িটিতে। বিস্ফোরণে প্রায় আট কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকার বাড়িঘর কেঁপে ওঠে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
হুগলির এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘দুপুর তখন (স্থানীয় সময়) সাড়ে ১২টা হবে। পরপর তিনটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শুনলাম। তার পরেই সিরিয়ালি চলল পরপর শব্দ। শুনে মনে হচ্ছিল, যেন মেশিনগান চলছে। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে চলছিল বিস্ফোরণ। বাড়ি কেঁপে ওঠে, রাস্তায় বেরিয়ে আসি আমরা।’
জানা গেছে, বিস্ফোরণে গঙ্গার অন্য পারের হুগলির বাসিন্দারাও কেঁপে ওঠেন। চুঁচুড়ার প্রেমনগর, আখনবাজারসহ একাধিক এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরাও কম্পন অনুভব করেছেন। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গঙ্গার দুই পাড়ের বাসিন্দা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল এ খবর জানিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যগুলো জানিয়েছে, বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। বিস্ফোরণের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জানা গেছে, বিস্ফোরণের কারণে গুরুতর আহত হয়েছেন পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কারখানার মালিক নূর হুসেন পলাতক।
শেষ খবর অনুযায়ী, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। আগুন নেভানোর কাজে সাহায্য করছেন স্থানীয়রাও। এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, এক বছর আগেও ওই এলাকায় বিস্ফোরণের ফলে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল। তারপরেও চলছিল ওই অবৈধ বাজি কারখানা। পুলিশ জানিয়েছে, কারখানায় কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থ তৈরি হচ্ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মুনাফার লোভে বেআইনিভাবে চালানো হচ্ছিল ওই কারখানা।
বিস্ফোরণের পর পুলিশ এসে গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে, ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে। তবে অভিযোগ উঠেছে, ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির খবর চাপা দিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন এলাকার সরকারদলীয় নেতারা।