পশ্চিমবঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা, বন্ধ হচ্ছে হাসপাতাল

গোটা ভারতের পাশাপাশি লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও। পাশাপাশি বাড়ছে আক্রান্ত এলাকাও। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ জন। ফলে রাজ্যটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে এক হাজার ২৫৯ জনে। এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। ফলে গোটা পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ৬১ জন। যদিও করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর তালিকা এর সঙ্গে যোগ করা হলে দাঁড়ায় ১৩৩ জন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে ৯০৮ জন রোগী রয়েছে। মোট আক্রান্ত এক হাজার ২৫৯ জনের মধ্যে ৬১ জন মারা গেছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২১৮ জন। তিনি জানান, করোনা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত হারে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। এখন পর্যন্ত রাজ্যে ২৫ হাজার ১১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। চার হাজার ৮৬০ জন বর্তমানে সরকারি কোয়ারেন্টিনে আছে। পাঁচ হাজার ৭৫৫ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত এলাকা বেড়ে ৪৪৪ থেকে হয়েছে ৫১৬টি। এর মধ্যে খোদ কলকাতায় রয়েছে ৩১৮টি জায়গা। বাকিগুলো রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। জানা গেছে, কলকাতায় এ সংখ্যা ছিল ২৬৪টি, সেখান থেকে তা বেড়ে হয়েছে ৩১৮টি। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় আক্রান্ত এলাকা ৮১টি, হাওড়ায় ৭৪টি, হুগলিতে ১৮টি, নদিয়ায় দুটি, পূর্ব মেদিনীপুরে নয়টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে একটি, পূর্ব বর্ধমানে একটি, মালদায় তিনটি, দার্জিলিংয়ে দুটি, কালিম্পংয়ে একটি এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় রয়েছে একটি। পশ্চিমবঙ্গের বাকি নয় জেলায় আক্রান্ত নেই।
এদিকে, কলকাতায় করোনা সংক্রমণের জেরে আপাতত রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পিয়ারলেস হাসপাতালে। আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হলো পিয়ারলেস। বন্ধ করা হলো সেখানকার জরুরি পরিষেবাও। তবে চালু থাকবে বিশেষ কিছু পরিষেবা। সম্প্রতি এই হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে মোট ১১ জনের শরীরে করোনা মিলেছে, যার মধ্যে চারজন চিকিৎসক রয়েছেন। ফলে সংক্রমণ রুখতে হাসপাতাল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বেসরকারি হাসপাতালটিতে আটজন করোনা রোগীর চিকিৎসা করার মতো পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। কিন্ত বর্তমানে সেখানে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ জন।
অন্যদিকে, কলকাতার চিতপুরের অন্যতম মাড়োয়ারি রিলিফ সোসাইটি হাসপাতালেও নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে করোনা পজিটিভ আসায় সেখানে রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।