পার্লামেন্টে মোদির ভাষণ থেকে ছাঁটা হলো শব্দ

পার্লামেন্টে বক্তব্য দেওয়ার সময় কেউ অসংসদীয় শব্দ ব্যবহার করলে কার্যবিবরণী থেকে তা বাদ দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘ঝুট’ অর্থাৎ ‘মিথ্যা’ শব্দটি ব্যবহার করেন। ওই শব্দটির পার্লামেন্টে ব্যবহার নিষিদ্ধ। তাই রাজ্যসভার কার্যবিবরণী থেকে শব্দটি বাদ দেওয়া হয়।
নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে বলেন, জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জি বা এনপিআর নিয়ে বিরোধীরা মানুষকে ‘মিথ্যা’ বলছে। বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদির শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের করা একটি মন্তব্যও বাদ দেওয়া হয়েছে কার্যবিবরণী থেকে।
ভারতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ থেকে কোনো শব্দ মুছে ফেলার ঘটনা বিরল, তবে অভূতপূর্ব নয়। ২০১৮ সালে কংগ্রেসের এমপি বি কে হরিপ্রসাদকে নিয়ে মোদির মন্তব্য কার্যবিবরণী থেকে মুছে ফেলা হয়। বি কে হরিপ্রসাদের নামের আদ্যাক্ষর সম্পর্কে অসম্মানজনক মন্তব্য করেছিলেন মোদি। আরও আগে ২০১৩ সালে রাজ্যসভায় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মন্তব্য বাদ দেওয়া হয়। সে সময় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা অরুণ জেটলির সঙ্গে মনমোহন সিংয়ের বিতর্ক চলছিল। অরুণ জেটলিরও কিছু মন্তব্য মুছে ফেলা হয়।
ভারতের পার্লামেন্টে অসংসদীয় শব্দ ব্যবহারের অনেক অভিযোগ রয়েছে। প্রতি বছর নতুন নতুন শব্দ সেই তালিকায় যোগ হয়। সম্প্রতি, ‘পাপ্পু’, ‘শ্যালক’, ‘জামাই’ শব্দগুলো সেই তালিকায় যোগ হয়।
অসংসদীয় শব্দ ছিল ‘গডসে’ বা ‘নাথুরাম গডসে’। ২০১৫ সালে তৎকালীন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন অসংসদীয় শব্দের তালিকা থেকে সেটি বাদ দেন। গান্ধীকে নিয়ে বিজেপি ও বিরোধীদের মধ্যে বাগযুদ্ধে এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়।