পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করতে রাজি পুতিন
পূর্ব ইউক্রেনে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গোলা হামলার লাগাম টানতে রাজি হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রোববার ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে অস্ত্রবিরতির জন্য কাজ করতে সম্মতি জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
ম্যাক্রোঁর সঙ্গে প্রায় ১০৫ মিনিট ধরে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় তাঁরা চলমান সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে এবং তা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন বলে এলিসি প্রাসাদের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ইউক্রেন সংকট ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাক্ষাৎ করবেন। খবর আল জাজিরার।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আসলেই ‘কী চান’ তা জানতে এবং ‘শান্তিপূর্ণ মীমাংসা’র লক্ষ্যে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কি।
রাশিয়া শিগগিরই ইউক্রেইনে হামলা চালাবে, পশ্চিমাদের এমন ধারাবাহিক সতর্কবার্তার মধ্যে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে জেলেনস্কি এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
‘রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট কী চান, তা আমি জানি না। এ কারণেই আমি একটি বৈঠকের প্রস্তাব করছি,’ বলেছেন জেলেনস্কি।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের উসকানিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হলে তার কোনো জবাব দেবে না বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কি। ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তিনি এমনটি জানান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘পূর্ব ইউক্রেনের ডোনব্যাস অঞ্চলে কোনো উসকানিমূলক কিছু করা হলে তার জবাব দেওয়া হবে না এবং কূটনীতির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা কোনো উসকানির জবাব দেই না বরং শান্তি প্রতিষ্ঠায় একমাত্র কূটনীতির মাধ্যমেই চেষ্টা চালাই।