বিজেপির নতুন সভাপতি জে পি নড্ডা

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জগৎপ্রকাশ নড্ডা।
আজ সোমবার নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে সর্বসম্মতিক্রমে নড্ডাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়। এক বছর ধরে তিনি দলের কার্যনির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন।
দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সদ্য সাবেক সভাপতি অমিত শাহর পাশাপাশি রাজনাথ সিংহ, নিতিন গডকরীসহ বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। ২০২২ সাল পর্যন্ত এই পদের দায়িত্বে থাকবেন নড্ডা।
অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর গত জুলাই থেকে কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে এবার পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁকে। এদিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি পদে নির্বাচিত হন নাড্ডা। ওই পদের জন্য আর কোনো মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খুব কাছের মানুষ ছিলেন নাড্ডা। বিজেপির সভাপতি হওয়ার পর অমিত শাহ স্বতন্ত্র পরিসর তৈরি করতে পেরেছিলেন দলের অন্দরে। মোদি ও শাহ জুটি শুধু দেশের রাজনীতিতেই নয় দলের মধ্যেও অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছিলেন।
২০১৪ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পরই দেশে প্রায় সব রাজ্যে গেরুয়া দুর্গ তৈরি করতে পেরেছিলেন অমিত শাহ। ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যে বিজেপির সাফল্য অমিত পর্বেই দেখা যায়।
এদিকে কাশ্মীর ইস্যু, নতুন নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি নিয়ে দেশে উত্তাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তার উপর দরজায় কড়া নাড়ছে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। এমন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেছেন হিমাচল প্রদেশের সাবেক মন্ত্রী নাড্ডা।
অমিত শাহ যেভাবে বিজেপিকে একের পর এক সাফল্য এনে দিতে পেরেছিলেন, সেই সাফল্যের ধারা কতটা ধরে রাখতে পারবেন নাড্ডা এই প্রশ্নই এখন ঘোরপাক খাচ্ছে দলের অন্দরে।