চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। একই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও। গেল ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে আট হাজার সাত শতাধিক মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে শনাক্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ২৯ হাজার ছাড়িয়েছে।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। অন্য দিকে, দৈনিক মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৯ কোটি ৮৫ লাখের ঘর। অপর দিকে, মৃতের সংখ্যাও ৪২ লাখ ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে।

আজ রোববার (১ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু এবং সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে আট হাজার ৭৭১ জন। আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কমেছে প্রায় ৫০০। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪২ লাখ ৩৩ হাজার ৭১ জনে।

এ ছাড়া একই সময়ের মধ্যে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে পাঁচ লাখ ২৯ হাজার ১৪১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে এক লাখ ১১ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৮৫ লাখ ৫৭ হাজার ২৫৯ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫০ হাজার ১৬৭ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত তিন কোটি ৫৭ লাখ ৪৫ হাজার ২৪ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ছয় লাখ ২৯ হাজার ৩১৫ জন মারা গেছে।

অন্য দিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে এক হাজার ৮০৮ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩৭ হাজার ২৮৪ জন। এ ছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৪ লাখ নয় হাজার ৬৫৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৪ হাজার ১১৯ জনের।

এ দিকে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৯২৫ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩৭ হাজার ৫৮২ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৯৯ লাখ ১৭ হাজার ৮৫৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে পাঁচ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩৭ জনের।