ব্রাজিলে অক্সফোর্ড ও সিনোভ্যাকের টিকার অনুমোদন, প্রয়োগ শুরু
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে নভেল করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য বিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা এবং চীনের সিনোভ্যাকের তৈরি ‘করোনাভ্যাক’ টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। এরপরই গতকাল একজন সেবিকাকে ‘করোনাভ্যাক’ প্রয়োগের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে ব্রাজিল একটি। বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। করোনায় মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরই রয়েছে ব্রাজিল। আর, ভাইরাসে আক্রান্তের হিসাবে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটি। কিন্তু, করোনায় এতটা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরও প্রতিবেশী একাধিক দেশের তুলনায় বেশ দেরিতেই টিকাদান কর্মসূচি শুরু করল ব্রাজিল।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থা আনভিসার সবুজ সংকেত পাওয়ার পর দেশটির ২৭ প্রদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং সিনোভ্যাকের তৈরি ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো করোনা মহামারিকে শুরু থেকেই খুব একটা পাত্তা দেননি। এ নিয়ে তাঁর বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। সম্প্রতি ব্রাজিলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানলে নতুন করে তোপের মুখে পড়েন বলসোনারো।
ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় দুই লাখ ৯ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৮৪ লাখের বেশি মানুষ।
ব্রাজিলের জনসংখ্যা ২১ কোটি ১০ লাখ। এই বিপুল জনগণের জন্য টিকা উৎপাদন করতে দুটি স্থানীয় বায়োমেডিকেল সেন্টারকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী এডুয়ারডো পাজুয়েলো।
করোনার টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়ার পর সাও পাওলোর ৫৪ বছর বয়সী সেবিকা মনিকা ক্যালাজানসকে সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যম টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে ব্রাজিল।