ভবানীপুরে ভোট দিলেন মমতা

ভবানীপুরের হাইভোল্টেজ উপনির্বাচনে ভোট দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টায় মিত্র ইনস্টিটিউশনে যান মমতা। সেখানে ভোট দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে বেরিয়ে যান তিনি। ভোট দেওয়ার পর ভোটারদের সঙ্গে দেখা করে কেমন ভোট হচ্ছে তার খোঁজ-খবর নেন।
অন্যদিকে, পরিবারের সবাইকে নিয়ে দুপুরে ভোট দিতে যান পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। চেতলা গার্লস স্কুলে ভোট দিয়েছেন তিনি।
মিত্র ইনস্টিটিউশনে গিয়ে ভোট দেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্ত্রী ও ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ভবানীপুর উপনির্বাচনে ভোট দেন তিনি। দুপুর ১টা পর্যন্ত ভবানীপুরে ভোট পড়েছে ৩৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এদিন সকাল থেকেই ভোটের লাইনে দেখা গেছে ভবানীপুরবাসীকে।
পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী বারবার অনুরোধ জানিয়েছেন, সব ভোটারকে ভোট দেওয়ার জন্য। তবে রাজ্যের বাকি দুই কেন্দ্রের তুলনায় দুপুর ১টা পর্যন্ত ভবানীপুরে ভোটের হার কম। সেখানে ভোট পড়েছে ৩৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ। সেখানে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের বাকি দুটি কেন্দ্র মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং শমসেরগঞ্জে ভোটের হার যথাক্রমে ৫৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং ৫৭ দশমিক ১৫ শতাংশ।
অন্যদিকে, হাইভোল্টেজ এই উপনির্বাচনে ভুয়া ভোট দানের অভিযোগ উঠেছে। ভবানীপুরের খালসা হাইস্কুলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন দুপুরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বুথে এলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা অতিরিক্ত গাড়ি এবং বহিরাগতদের নিয়ে এলাকায় ঘুরছেন। ফলে তাদের ভোট দিতে অসুবিধা হচ্ছে।
পাল্টা বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, বুথ জ্যাম করে ভুয়া ভোট চলছে। বিশেষ করে তৃণমূলের বিধায়ক মদন মিত্রর এলাকায় ভুয়া ভোট চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
ভবানীপুরে ভোটদানের হার কম হওয়ায় চিন্তিত গেরুয়া শিবির। তাদের অভিযোগ, সাদা পোশাকের পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করছে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানিয়েছেন তারা।
এদিন সকাল থেকে ভবানীপুর কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ ঘিরে বিক্ষিপ্ত উত্তেজনা ছড়ায়। ১৪৪ ধারা জারি করা হয় এলাকায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও খোলা আছে সব দোকানপাট।