ভারতের করোনা ভ্যাকসিন বাজারে আসতে আরো ৬ মাস লাগতে পারে

ভারতে তৈরি প্রথম করোনা ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হতে চলেছে দিল্লির এইমস হাসপাতালে। গত শনিবার হাসপাতালের এথিকস কমিটি এর অনুমোদন দিয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক ১০০ জনের শরীরে প্রয়োগ করা হবে এই ভ্যাকসিন। এইমস হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তিনটি ধাপে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হবে।
প্রথম ধাপে কো-মরবিডিটি নেই বা করোনায় আক্রান্ত হননি এমন ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সীরা এই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। আর এক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে ৩৭৫ জন মানুষের শরীরে এই পরীক্ষা করা হবে। দ্বিতীয় ধাপেও করোনায় সংক্রমিত হননি এমন ১২ থেকে ৬৫ বছর বয়সীরা এই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়ালের জন্য মোট ৭৫০ জন স্বেচ্ছাসেবককে বাছাই করা হয়েছে। এরপর তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে।
তবে সব পরীক্ষার ফল ইতিবাচক এলেই এটি বাজারজাত করা হবে। এ বিষয়ে এইমসের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সঞ্জয় রাই জানিয়েছেন, সবমিলিয়ে গোটা প্রক্রিয়াটি এখনও শেষ হতে ছয় মাস লেগে যাবে। ফলে এখনই ভারতের বাজারে আসছে না ‘ভারত বায়োটেক’ কোম্পানির করোনা প্রতিষেধক ভ্যাকসিন।
ডা. রাইয়ের কথায়, চলতি বছরের শেষে অথবা ২০২১ সালের শুরুতেই বাজারে চলে আসতে পারে এই ভ্যাকসিন।
এদিকে প্রতিদিন যেভাবে ভারতে করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। ভারতজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১১ লাখের কাছাকাছি। এ পরিস্থিতিতে উদ্বেগ এবং আশঙ্কা বাড়িয়ে আইএমও জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণে ভারতের অবস্থা খুবই খারাপ। শুধু শহর নয়, এই মুহূর্তে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে ভারতের গ্রামীণ এলাকাগুলোতেও।
তবে এই পরিস্থিতিতেও ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউরোপ মহাদেশের ইতালি, স্পেন ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভারতে করোনায় মৃত্যুর হার অনেক কম। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, ভারতে মৃত্যুহার দ্রুত গতিতে কমছে। বিশ্বের যে সব দেশে করোনায় মৃত্যুর হার অনেক কম, ভারত তাদের মধ্যে অন্যতম।