ভারতে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল শুরু, স্কুল খুলছে অস্ট্রেলিয়ায়

ভারতে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়লেও আজ সোমবার থেকে দেশটিতে চালু হচ্ছে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল। প্রায় দুই মাস বিমান চলাচল বন্ধ থাকার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। তবে ভ্রমণ করতে হলে যাত্রীদের অবশ্যই সরকারি একটি কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে এবং থার্মাল স্ক্যানিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
ভারতের আসাম ও উত্তরপ্রদেশ রাজ্য জানিয়েছে, যাত্রীদের পৌঁছানোর পর কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আর পাঞ্জাব ও কর্ণাটক প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার শর্ত দিয়েছে। তবে দিল্লি জানিয়েছে, যেসব যাত্রীর উপসর্গ নেই, তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে না। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
আজ সোমবার যারা ভ্রমণ করবে, তাদের মধ্যে রয়েছে আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য, শিক্ষার্থী ও অভিবাসী শ্রমিক।
তবে এদিনই মুম্বাই, দিল্লিসহ কয়েকটি রাজ্যের বিমানবন্দরেই যাত্রীরা অভিযোগ করেছে, বহু ফ্লাইটই বাতিল হয়েছে। অথচ যাত্রীদের আগে থেকে কোনো এয়ারলাইনসই এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। দিল্লিতে বাতিল হয়েছে ৮২টি ফ্লাইট। সেখানকার ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩ নম্বর টার্মিনালে যাত্রীরা অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁদের একেবারে শেষ মুহূর্তেও কিছু জানানো হয়নি। একই দৃশ্য মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও। সেখানেও বহু যাত্রীকে বসে থাকতে দেখা যায়, যাঁরা সেখানে গিয়ে জানতে পেরেছেন তাঁদের ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে ভারতে এ পর্যন্ত এক লাখ ৩০ হাজার মানুষ সংক্রমিত এবং দিন হাজার ৮৬৭ জন মারা গেছে।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় অঙ্গরাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসে স্কুল খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবং বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে বলা হয়েছে। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়িয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার বার্তা দিচ্ছে এটি।
তবে দেশটির অন্যান্য অঙ্গরাজ্য যেমন, ভিক্টোরিয়া ও কুইন্সল্যান্ডে এখনো স্কুল বন্ধ রয়েছে। এসব অঙ্গরাজ্যের শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, শ্রেণিকক্ষে দেশটিতে স্বীকৃত দেড় মিটার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারবেন না তাঁরা।
তবে স্কুল খুললেও বাচ্চাদের দুপুরের খাবারের বিরতি, সাধারণ পানির ঝর্ণা ব্যবহার, জমায়েত বা শরীরচর্চা, অর্কেস্ট্রা বা সাঁতার কাটার মতো অতিরিক্ত শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মা-বাবাকে বলা হয়েছে, তাঁরা যেন নিজেদের গাড়ি বা পায়ে হেঁটে সন্তানদের স্কুলে পৌঁছে দেন, যাতে করে গণপরিবহন এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়। সিডনিতে প্রতিদিন অন্তত এক লাখ ১০ হাজার শিক্ষার্থী গণপরিবহন ব্যবহার করে।