ভারতে করোনাযুদ্ধে শরিক তাবলিগ জামাতের সদস্যরা, প্লাজমা দেবেন ২০০ জন

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দুদিন আগে করোনা চিকিৎসার পরীক্ষার জন্য প্লাজমা দান করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এলেন তাবলিগ জামাতের ২০০ সদস্য। তাবলিগ জামাতের যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, কিন্তু এখন সুস্থ হয়ে গেছেন, তাঁরাই রাজি হয়েছেন নিজেদের প্লাজমা স্বেচ্ছায় দিতে। মাসখানেক আগে দিল্লির নিজামুদ্দিনে এক ধর্মীয় সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন কয়েক হাজার তাবলিগ সদস্য। বিদেশ থেকেও বহু মানুষ ওই সম্মেলনে এসেছিলেন। সেখানে কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি আসায় ভারতে ঝড়ের গতিতে বহু মানুষ সংক্রমিত হয়েছিলেন।
কেজরিওয়ালের আহ্বান
দিল্লির স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাবলিগ জামাতের অন্তত ২০০ সদস্যকে প্লাজমা দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল নিজে বলেছিলেন, ‘সব ধর্মের মানুষ প্লাজমা দিয়ে অন্য ধর্মের মানুষের প্রাণ বাঁচাতে চাইছে। হতে পারে কোনো মুসলিমের প্লাজমা হিন্দুর জীবন বাঁচাবে, এও হতে পারে কোনো হিন্দুর প্লাজমা মুসলিমের জীবন বাঁচাবে। ঈশ্বর যখন পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন, তখন মানুষ বানিয়েছিলেন। প্লাজমা ধর্ম দেখে বাঁচায় না।’ সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
সর্বভারতীয় মেডিকেল সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে করোনা সার্ভিসের চেয়ারম্যান ড. সুষমা ভটনাগর জানিয়েছিলেন, কয়েকজন সুস্থ হয়ে যাওয়া রোগীকে তাঁরা রক্তদানের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এতে তাঁরা রাজি হয়ে গেছেন। এখন দেখা হচ্ছে, কোন কোন স্যাম্পল প্লাজমাথেরাপির কাজে আসবে।
প্লাজমাথেরাপি কী?
প্লাজমাথেরাপি বা প্যাসিভ অ্যান্টিবডি থেরাপির জন্য সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির রক্ত থেকে প্লাজমা নিতে হয়। যাঁরা করোনা থেকে ১৪ দিনের বেশি সময় ধরে সুস্থ আছেন, তাঁরা এভাবে রক্ত বা প্লাজমা দিতে পারেন। একেকজনের শরীরে একেক সময়ে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। সংক্রমণের প্রাবল্য ও রোগীর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর এটি নির্ভর করে।