ভারতে বাইডেনের ‘সম্ভাব্য পূর্বপুরুষদের নথি’ নিয়ে হোয়াইট হাউসে মোদি!

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্র সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সম্ভাব্য পূর্বপুরুষদের সম্পর্কিত নথি সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন। হোয়াইট হাউসে বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মোদি এসব নথির কথা জানান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
এর আগে ২০১৩ সালে বাইডেন ভারত সফরকালে জানান, ১৯৮১ সালে তিনি যখন ২৯ বছর বয়সে প্রথম বার নির্বাচিত হয়ে মার্কিন সিনেটে পা রাখেন, তখন ভারত থেকে তাঁকে চিঠি লিখে এক ব্যক্তি জানিয়েছিলেন যে ওই ব্যক্তির পদবিও বাইডেন। বাইডেন অবশ্য জানান, এই বিষয়ে পরে আর বেশি খোঁজ খবর নেওয়ার সুযোগ হয়নি তাঁর। তবে বাইডেন জানান, হয়তো এখনও ভারতের মুম্বাইতেই রয়ে গেছেন সেই বাইডেনরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভারতে থাকা বাইডেন পদবিধারী লোকজন হলেন ইয়ান বাইডেন, তাঁর বোন সোনিয়া ফ্রান্সিস নি বাইডেন, তাঁদের মা অ্যাঞ্জেলিনা বাইডেন, এবং ইয়ান ও সোনিয়ার কাজিন রোয়েনা বাইডেন। ধারণা করা হয়, ইয়ান ও সোনিয়ার দাদা লেসলি বাইডেনই ১৯৮১ সালে জো বাইডেনকে চিঠি লিখেছিলেন।

বাইডেন জানান, তাঁর এক পূর্বপুরুষ ইস্ট ইন্ডিয়া টি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ক্যাপ্টেন জর্জ বাইডেন নামে সেই পূর্বপুরুষ সম্ভবত এক ভারতীয় নারীকে বিয়ে করেন। বাইডেনের গল্প শুনে মোদি জবাব দেন, ‘আপনি আগেও আমাকে এই বিষয়ে বলেছিলেন। তারপর থেকেই আমি নথি ঘেঁটে খুঁজে চলেছি তাঁদের। তবে, আমি তো আজও পর্যন্ত বিষয়টা খুঁজে বের করতে পারিনি। আমি নিজের সঙ্গে আমার খুঁজে পাওয়া নথি এনেছি। এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্যই হল সেটা খুঁজে বের করা। আমার আনা কিছু নথি হয়ত আপনার কাজে আসতে পারে।’
নরেন্দ্র মোদির এ কথায় হাসি থামাতে পারেননি জো বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিশ্বাসই করতে পারেননি সত্যি সত্যি মোদি এসব নথি নিয়ে এসেছেন।