ভারতে বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭, আটক সাত হাজারের বেশি

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে ভারতের লোকজন। দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভে বিভিন্ন রাজ্যে এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশেই নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
এ ছাড়া ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আটক করা হয়েছে সাত হাজারেরও বেশি মানুষকে। তাঁদের মধ্যে অনেককেই পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। বিক্ষোভের মধ্যেই আজ রোববার নয়াদিল্লির রামলীলা ময়দানে বিজেপির সমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এদিকে অন্য রাজ্যের চেয়ে উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্যটির ১৬ জেলায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের মুখপাত্র প্রবীণ কুমার জানান, গতকাল শনিবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগ তরুণ ছিলেন। তবে এ জন্য পুলিশ দায়ী নয় বলে দাবি করেন তিনি।
প্রবীণ দাবি করেন, পুলিশ কোথাও বিক্ষোভকারীদের ওপর একটি গুলিও চালায়নি। বিক্ষোভকারীদের ভয় দেখাতে পুলিশ কেবল কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো দাবি করেন, উত্তর প্রদেশের রামপুর, শম্ভল, মুজাফফরনগর, বিজনোর ও কানপুরে বিক্ষোভকারীরা অন্তত এক ডজন গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এমনকি সেখানে একটি পুলিশ স্টেশনেও অগ্নিসংযোগ করে তারা।
এরই মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা দিয়েছেন, যেসব বিক্ষোভকারী রাজ্যের সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করেছে, তাদের চিহ্নিত করে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এ নিয়ে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। বিক্ষোভকারীদের চিহ্নিত করাসহ রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করবেন তাঁরা।
এ ছাড়া রাজ্যের সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতির অর্থ বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে আদায় করা হবে বলেও জানানো হয়।
উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও গতকাল শনিবার বিক্ষোভে উত্তাল ছিল রাজধানী নয়াদিল্লি, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহারসহ অন্যান্য রাজ্য।
এদিকে শীতের দিল্লিতে উত্তাপ বাড়াতে আজ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনবিরোধী মিছিলে রাজপথে নামছেন কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।