ভুয়া তথ্য দিলে জেল, তুরস্কে বিল পাস
সামাজিক মাধ্যমে বা অন্যত্র ভুয়া তথ্য দিলে জেল হবে তুরস্কে, এমন আইন পাস হয়েছে দেশটির পার্লামেন্টে। সাংবাদিক থেকে সাধারণ মানুষ, সবাই এই আইনের আওতায় থাকছে। ফলে, লঙ্ঘন করলেই জেল হতে পারে যে কারও।
আইনে বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে যিনি ভুয়া তথ্য দেবেন, তার ব্যক্তিগত সব তথ্য দিতে বাধ্য থাকবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা।
কাউন্সিল অব ইউরোপ জানিয়েছে, ভুয়া তথ্য কাকে বলা হবে, সেই বিষয়টি বিলে স্পষ্ট করে বলা হয়নি। আইনের একটি অংশ নিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন উঠছে। তাদের মতে, ২০২৩-এর জুনে তুরস্কে নির্বাচন। তার আগে এই আইন পাস করার অর্থ হলো মানুষকে জেলের ভয় দেখানো এবং মানুষ যাতে নিজেরাই সমালোচনা থেকে বিরত থাকে তার ব্যবস্থা করা।
প্রশ্নবিদ্ধ অংশে বলা হয়েছে, অনলাইনে তুরস্কের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো তথ্য দিলে বা কোনো তথ্য যা জনমানসে ভয় তৈরি করতে পারে বা জনশৃঙ্খলার বিরোধী এমন কিছু লিখলে, এক থেকে তিন বছরের জেল হবে।
প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) নেতা অ্যালটে বলেছেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে তুরস্ক অন্যদের থেকে অনেক পিছিয়ে। এই আইন করার পর সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার তালিকায় তুরস্ক থাকবেই না। কিন্তু, এর্দোয়ানের দলের দাবি—ভুয়া ও ভুল তথ্যের স্রোত বন্ধ করার জন্য এই আইন দরকার ছিল। এই বিল সংবাদমাধ্যম বা বিরোধীদের চুপ করানোর জন্য করা হয়নি।
পার্লামেন্টে পাস হওয়ার পর বিলটি এখন প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের জন্য গেছে। তিনি অনুমোদন দিলেই তা আইনে পরিণত হবে। নির্বাচনের আগে তুরস্ক আগামী বছর প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি তুরস্কে খুবই গুরুত্ব পাচ্ছে।