মজার আড়ালে যে অ্যাপে রয়েছে বড় বিপদের শঙ্কা

অ্যাপটির নাম ‘ইমেইল স্পুফার’। অ্যাপের বিবরণে বলা আছে, শুধু মজা বা প্র্যাঙ্ক করার জন্যই এই অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এসব মজা বা প্র্যাঙ্কের আড়ালে রয়েছে বড় ধরনের বিপদ। এই অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহৃত ই-মেইল নিমেষে গায়েব হয়ে যেতে পারে।
এই অ্যাপের মাধ্যমে ইউজারনেম বা পাসওয়ার্ড ছাড়াই অন্য একজনের ইমেইল আইডি থেকে আরেকজনের আইডিতে বার্তা পাঠানো সম্ভব। ভারতের বেঙ্গালুরুতে কর্মরত উত্তরপ্রদেশের যুবক রুপেশ ভান্ডারি এই অ্যাপটি তৈরি করেছেন। এরই মধ্যে এই অ্যাপ তৈরি ও প্রতারণার অভিযোগে ২২ বছর বয়সী ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।
২০১৭ সালে এই অ্যাপ্লিকেশন লঞ্চ করেন রুপেশ ভান্ডারি। প্রাথমিকভাবে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চালু ছিল এই অ্যাপ। চলতি বছরের অক্টোবরে এই অ্যাপের নতুন ভার্সন লঞ্চ করেন ভান্ডারি। মানুষজনকে ঠকানোর জন্য এই অ্যাপের মাধ্যমে ম্যাট্রিমনি বা বিয়েশাদির ওয়েবসাইট এবং চাকরিতে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের নাম নিয়ে নোটিফিকেশন পাঠাতে শুরু করেন রুপেশ।
এর আগে ভারতের সাইবার সেলের কাছে অভিযোগ আসে যে, চাকরির নামে বিভিন্ন জন প্রতারণার শিকার হচ্ছে। এর পর ভুক্তভোগীদের কাছে আসা বিভিন্ন কোম্পানির ইমেইল দেখার পর ওইসব কোম্পানিকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, কীভাবে ইমেইল যাচ্ছে, সেটা তাদের কাছেও অজানা। পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, ইমেইল স্পুফার নামের ওই অ্যাপের সাহায্যেই বিভিন্ন কোম্পানির আইডি থেকে ইমেইলগুলো পাঠানো হয়েছিল।
এখনো গুগল প্লে-স্টোরে রয়েছে এই অ্যাপ্লিকেশন। এরই মধ্যে সহস্রাধিক বার ডাউনলোড করা হয়েছে অ্যাপটি। যাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতীয় বাসিন্দারাই বেশি। এ ছাড়া নাইজেরিয়া, তুরস্ক ও বাংলাদেশ থেকেও এই অ্যাপটি ডাউনলোড করা হয়েছে।