মহাত্মা গান্ধীর সেই চরকা ঘোরালেন ট্রাম্প

সোমবার ভারত সফরে এসে গুজরাটের আহমেদাবাদে মহাত্মা গান্ধীর সেই স্মৃতিবিজড়িত সবরমতী আশ্রম পরিদর্শনে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও।
গান্ধীর আশ্রমে গিয়ে হাত দিয়ে চরকা ঘোরাতেও দেখা গেছে তাঁদের। মহাত্মা গান্ধীর স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিল এই চরকাটি।
এর আগে আজ বেলা ১১টা ৩৮ মিনিটে ট্রাম্পকে বহনকারী উড়োজাহাজ ভারতে নামার কথা জানায় বার্তা সংস্থা এএনআই। দুপুর ১২টার দিকে ট্রাম্প নেমে এলে তাঁকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্তাব্যক্তি ছিলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা জানাতে মোদির রাজ্য গুজরাটের আহমেদাবাদে ছিল সাজসাজ রব। ট্রাম্পের আপ্যায়নে যাতে কোথাও কোনো ত্রুটি না থাকে, তার ব্যবস্থাপনায় রীতিমতো তোড়জোড় করে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছিল মোদির সরকার।
ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরিচয় করাতে সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়। জয়পুর থেকে আনা হয় সোনা ও রুপার বাসন। ভারতও যে ঐশ্বর্যের দিক থেকে কোনো অংশে কম নয়, তা জাহির করতে একেবারেই কমতি রাখেনি মোদি সরকার।
বিমানবন্দরে নামার পর প্রথমে ট্রাম্পকে নিয়ে যাওয়া হয় সবরমতী আশ্রমে। গোটা আশ্রমটি তাঁদের ঘুরিয়ে দেখান প্রধানমন্ত্রী। ওই আশ্রমে থাকা মহাত্মা গান্ধীর একটি ছবিতে সস্ত্রীক মালা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে সবরমতী আশ্রমে দর্শনার্থীদের মন্তব্য লেখার খাতায় ট্রাম্প ‘প্রিয় বন্ধু মোদিকে আমি এই অসাধারণ আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানাই’ এইভাবে নিজের ভালোলাগা লিখলেও ওই খাতায় একবারও মহাত্মা গান্ধীর কথা উল্লেখ করেননি।
তারপর সেখানে গুজরাটি সুস্বাদু খাবার খান তিনি। ব্রকলি ও ভুট্টার পুর দিয়ে তৈরি শিঙাড়া, আপেল পাই ও কাজু কাটলির সঙ্গে তাঁদের চা পান করতে দেওয়া হয়। আশ্রমের ‘হৃদয় কুঞ্জে’ ১৫ মিনিট সময় কাটান তাঁরা। এই ‘হৃদয় কুঞ্জে’ মহাত্মা গান্ধী ১৩ বছর বাস করেছিলেন।