মিয়ানমারে সু চির দলের কার্যালয়ে সেনা অভিযান, তাণ্ডব
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/02/10/myanmar_0.jpg)
মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) কার্যালয়ে দেশটির সেনাবাহিনী তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিবিসির খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার শেষ বিকেলে রাজধানী নেপিদোয় এনএলডির দলীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙে প্রবেশ করে সেনাবাহিনী। এ সময় সেখানে এনএলডির কোনো নেতাকর্মী ছিলেন না।
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার ছিল সেনাশাসন বিরোধী বিক্ষোভের সবচেয়ে সহিংস দিন। এদিন রাজধানী নেপিদোতে গুলি চালায় পুলিশ। এতে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়। যাদের মধ্যে এক নারীর অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা বলছেন, ওই নারীর মাথায় চারটি গুলি লেগেছে। তার বাঁচার আশা ক্ষীণ বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
নেপিদো ছাড়াও অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ হয়। অন্যান্য স্থানের বিক্ষোভেও শক্তি প্রয়োগের খবর পাওয়া গেছে। সেসব জায়গায়ও বিক্ষোভকারীরা আহত হয়েছেন।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে পুলিশের আহত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটপাটকেলে পুলিশ আহত হয়েছে।
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2021/02/10/myanmar-insert.jpg 687w)
বিক্ষোভে শক্তি প্রয়োগের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র। তারা গণতন্ত্র পুনর্বহালের আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে দেশটির রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দিতে বলেছে।
গত নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে দাবি করে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সু চিসহ নির্বাচিত নেতাদের আটক করে গত ১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরই মধ্যে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
নির্বাচনে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী সু চির দল এনএলডি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। সেনা সমর্থিত বিরোধী দল শোচনীয় অবস্থায় পড়ে।
এদিকে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের আট দিন পর গত সোমবার প্রথম টেলিভিশন ভাষণে সেনাপ্রধান ও সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং বললেন, ‘নভেম্বরের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।’
জেনারেল বলেন, তাঁর শাসনামল ২০১১ সাল পর্যন্ত চলা ৪৯ বছরের সামরিক নিয়ন্ত্রণের মতো হবে না। ‘সত্যিকারের ও নিয়মতান্ত্রিক গণতন্ত্র’ অর্জনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মিন অং হ্লাইং।
অন্যদিকে, বিক্ষোভকারীরা বলছেন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক সরকারের কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করে না তারা।