মোদি-ঝড় কাজে আসেনি ঝাড়খণ্ডে

ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্য হাতছাড়া হতে চলেছে বিজেপির। এমনকি রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা রঘুবর দাস আর রাজ্য বিজেপির সভাপতি লক্ষ্মণ গিলুয়া দুজনই বিধানসভার ভোটে পরাজিত হয়েছেন। তবে একটাই সান্ত্বনা, ভোটের হিসেবে একক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি আসনে জয় তারাই পেয়েছে। কিন্তু হলে কী হবে? এ সংখ্যা ম্যাজিক সংখ্যা নয়।
ম্যাজিক সংখ্যা আছে কংগ্রেস, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) সম্মিলিত মহাজোটের হাতে। ফলাফল পাওয়ার পরই নিশ্চিত হয়ে গেছে, মহাজোটের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন জেএমএম দলের প্রধান সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবু সরেনের ছেলে হেমন্ত সরেন।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ডের ৮১টি বিধানসভার মধ্যে ম্যাজিক ফিগার ৪১টি ছুঁয়ে ফেলেছে মহাজোট। এর মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ২৬টি আসন, মহাজোটের কংগ্রেস পেয়েছে ১৫টি আসন, জেএমএম পেয়েছে ২৯টি আসন এবং আরজেডি পেয়েছে একটি আসন। অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আজসু) পেয়েছে তিনটি আসন, ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা (জেভিএম) পেয়েছে তিনটি আসন, অন্যরা পেয়েছে চারটি আসন।
আজ ভোট গণনার শুরু থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয়েছিল। কিন্তু বেলা যত গড়াতে থাকে ততই ভোটের ফলাফল মহাজোট শিবিরের দিকেই ঝুঁকে পড়তে শুরু করে। আর তাতেই ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে যায় পালাবদলের ইঙ্গিত।
এ দিন ফলাফল স্পষ্ট হতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেই মহাজোট শিবিরের উল্লাসের ছবি দেখা গিয়েছে। কোথাও কোথাও জেএমএম আর কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে মিষ্টিমুখ শুরু হয়ে যায়। আবার কোথাও কোথাও বাজি পোড়াতে শুরু করেন কংগ্রেস ও জেএমএম সমর্থকরা।
এর আগে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বুথফেরত সমীক্ষাগুলির বেশির ভাগই এবার বিজেপির থেকে কংগ্রেস, জেএমএম ও আরজেডি মহাজোটকেই এগিয়ে রেখেছিল। ২০০০ সালে গঠিত ঝাড়খণ্ড রাজ্য গত মাসেই ২০ বছরে পা দিয়েছে। এটি রাজ্যের চতুর্থ বিধানসভা নির্বাচন।