রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, মস্কোর গ্যামেলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি বিশ্বের প্রথম কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিবন্ধন করিয়েছে। তাঁর মেয়ে ইতোমধ্যে ‘স্পুটনিক ৫’ নামে এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন বলেও গতকাল মঙ্গলবার দাবি করেছেন পুতিন।

করোনার ভ্যাকসিন কারা আগে নিতে পারবেন, তা-ও ঠিক করে ফেলেছে রাশিয়া। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষক, পুলিশ, নিরাপত্তাকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, অর্থাৎ যাঁরা সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছেন, তাঁরাই সবার আগে এই ভ্যাকসিন নেওয়ার সুযোগ পাবেন। সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এ খবর জানিয়েছে।

প্রথম দেশ হিসেবে করোনার ভ্যাকসিনের নিবন্ধন করিয়েছে রাশিয়া। তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার আগেই নিবন্ধন করানোয় বিশ্বের একাধিক বিজ্ঞানী ভ্যাকসিনটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পুতিন অবশ্য দাবি করেছেন, পর্যাপ্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে।

তবে এখনই ব্যাপক পরিসরে করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে না রাশিয়া। তা শুরু হবে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে।

পুতিন গতকাল মঙ্গলবার জানান, মানুষের দেহে প্রায় দুই মাস পরীক্ষা চালানোর পর রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভ্যাকসিনটির অনুমোদন দিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে পুতিন বলেন, ‘আজ সকালে নভেল করোনাভাইরাসের প্রথম ভ্যাকসিনটি নিবন্ধিত হয়েছে।’

গ্যামেলিয়া ইনস্টিটিউটের প্রশংসা এবং ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে আশ্বস্ত করে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি আবারও বলতে চাই, এটা (ভ্যাকসিন) প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা উতরে এসেছে। এটি ব্যবহার করা নিরাপদ—এ নিশ্চয়তা এবং এর কার্যকারিতা সম্পর্কেও নিশ্চয়তা দেওয়া যায়। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

ভিডিও কনফারেন্সে পুতিন জানান, তাঁর মেয়ে ইতোমধ্যে এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং তিনি ভালো আছেন। পুতিন আরো দাবি করেন, ‘আমার এক মেয়ে ভ্যাকসিন নিয়েছে এবং এক অর্থে সে ভ্যাকসিন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।’

পুতিন জানান, প্রথম দুবার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মৃদু জ্বর এসেছিল, তবে ‘পরে সব ঠিক হয়ে যায়। এখন সে ভালো আছে। তার অ্যান্টিবডি কাউন্টও এখন ভালো।’

পুতিনের দুই মেয়ে। একজনের নাম মারিয়া, অন্যজনের নাম কাতেরিনা। তাদের মধ্যে কে ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি।