সন্তানের ভুয়া জন্মদিন সাজিয়ে ২৩ শিশুকে বন্দি করল খুনের আসামি

গতকাল বৃহস্পতিবার নিজ সন্তানের ভুয়া জন্মদিন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের ফারুখাবাদ এলাকার বাসিন্দা শুভাস বাথাম। সেখানে তিনি স্থানীয় ২৩টি শিশুকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন। এরপরই বন্দুক তাক করে শিশুদের বন্দি করে রাখেন তিনি। সেই বন্দিদের মধ্যে ছিল শুভাসের সন্তান ও স্ত্রীও। অনেকক্ষণ পরও ওই শিশুরা বাড়িতে না ফিরলে খোঁজ নেন অভিভাবকরা। এরপরই জানা যায় আসল ঘটনা।
এ ঘটনা জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ উপস্থিত হয় পুলিশ। এরপর দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার অভিযান চালানো হয়। কোনো উপায় না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ডাকা হয় স্পেশাল ফোর্সকে। এরপর ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন শুভাস।
এদিকে এ উত্তেজনার পারদ যখন তুঙ্গে, তখনই ফুঁসে ওঠেন স্থানীয়রা। শুভাসের স্ত্রীর নাগাল পেয়ে তাঁকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন তাঁরা। এরপর পুলিশ আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে আজ শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী দীপক কুমার শ্রীবাস্তব জানান, প্যারোলে মুক্তি পাওয়া হত্যাকাণ্ডের আসামি ছিলেন শুভাস। তিনি মনে করতেন, হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে গ্রামবাসীর হাত রয়েছে। আর এ জন্য তিনি প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন।
শ্রীবাস্তব আরো জানান, শিশুদের রক্ষার জন্য শ্রীবাস্তবের সঙ্গে মধ্যস্থতায় আসার চেষ্টা করেছিল পুলিশ এবং তাঁকে আত্মসমর্থনের জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ ব্যর্থ হলে সেখানে অভিযান চালায় স্পেশাল ফোর্স।
স্থানীয় এই গণমাধ্যমকর্মী জানান, শিশুদের বন্দি করার সাত ঘণ্টা পর শুধু ছয় মাস বয়সী এক শিশুকে বারান্দার মাধ্যমে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শুভাস।
উত্তরপ্রদেশের পুলিশ মহাপরিচালক ওম প্রকাশ সিং বলেন, ‘ওই ব্যক্তি যেকোনো সময় গুলি চালাতে পারতেন, এমন সুযোগ তাঁর ছিল। যখনই তিনি বোমা হামলার হুমকি দেন, তখনই নড়েচড়ে বসে পুলিশ এবং সরাসরি তাঁকে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর আমরা ওই বাড়িতে ঢুকি। সেখানেই বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন শুভাস।’