‘সম্মান রক্ষায়’ মেয়েকে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হত্যা করলেন বাবা

ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায়ই ঘটে ‘অনার কিলিং’ বা তথাকথিত ‘সম্মান রক্ষার্থে হত্যা’র মতো নিষ্ঠুর ঘটনা। সম্প্রতি আগ্রায় ঘটেছে আরো একটি অনার কিলিংয়ের ঘটনা। প্রতিবেশী এক তরুণের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠায় ২২ বছরের আত্মজাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ফিরোজাবাদ জেলার সালেমপুর খুটিয়ানা গ্রামে গত শনিবার মাঝরাতে এ ঘটনা ঘটে। তখন রাত সোয়া ১টা। সে সময় বাড়িতে ছিলেন পূজা সিং ও তাঁর বাবা হরিবংশ কুমার। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট পূজা সিং স্নাতকোত্তর পাস করেছিলেন। পূজার মা ও তিন ভাই গুরুগ্রামে গিয়েছিলেন। পূজার আরেক ভাই অন্য বাড়িতে থাকেন।
সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, মাঝরাতে বাড়ির বাইরে পূজার সঙ্গে দেখা করতে আসে তাঁর প্রেমিক প্রতিবেশী এক তরুণ। ওই তরুণের সঙ্গে পূজাকে কথা বলতে দেখে ফেলেন হরিবংশ কুমার। এরপর পূজা প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলা শেষে ঘরে ফিরলে মেয়েকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করেন হরিবংশ কুমার। এরপর তিনি পূজার গলার খাদ্যনালি কেটে দেন।
এরপর হরিবংশ কুমার নিজেই জরুরি নম্বর ১০০-এ ফোন করে পুলিশে খবর দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। মেয়ের সঙ্গে প্রতিবেশী তরুণের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি বলেই তাকে খুন করেছেন বলে জানান হরিবংশ কুমার।
স্থানীয় থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, এটা অনারকিলিংয়ের ঘটনা। মেয়ে প্রতিবেশী এক তরুণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোয় বিরক্ত হয়ে মেয়েকে খুন করেছে বলে জানিয়েছে অভিযুক্ত।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, খুন করার জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র পুলিশ উদ্ধার করেছে। পূজার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ভারতের উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে গত ১৮ মাসে পূজাসহ অনার কিলিংয়ের শিকার হলেন ২৩ জন।