সেভেরোদোনেৎস্কে ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের আত্মসমর্পণ করতে বলল রাশিয়া

ইউক্রেনের অবরুদ্ধ নগরী সেভেরোদোনেৎস্কের আজত রাসায়নিক প্ল্যান্টের ইউক্রেনীয় সেনাদের আজ বুধবারের মধ্যে অস্ত্র সমর্পণ করতে বলেছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদেরকে আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়ার পর মস্কো এ নির্দেশ দিল। খবর রয়টার্সের।
রাশিয়ার ন্যাশনাল ডিফেন্স ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের প্রধান মিখাইল মিজিনৎসেভের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স বলেছে, ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদেরকে অর্থহীন প্রতিরোধ লড়াই বাদ দিয়ে অস্ত্র নামিয়ে রাখতে বলা হয়েছে।
ইউক্রেন বলছে, ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল এবং সেভেরোদোনেৎস্কের মধ্যকার শেষ সেতুটিও রুশ বাহিনীর হামলায় ধ্বংস হওয়ার পরও যোদ্ধারা নগরীর নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে।
এর আগে এক খবরে বিবিসি জানিয়েছিল, আজত রাসায়নিক প্ল্যান্টে আটকা পড়া বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য একটি নিরাপদ করিডোর স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। আজ বুধবার এ করিডোর দিয়ে কয়েকশ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার কথা রয়েছে। বেসামরিক নাগরিকদেরকে বিচ্ছিন্নতাবাদী লুহানস্ক অঞ্চলে স্থানান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে রুশ সেনাবাহিনী।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আজত রাসায়নিক প্ল্যান্টের ভেতরে সৈন্যদের পাশাপাশি অন্তত ৫০০ বেসামরিক লোক আটকা পড়ে আছে।
এদিকে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সেভেরোদোনেৎস্কের গভর্নর সেরহি গাইদাই বলেন, শহরের প্রায় ৭০ শতাংশ এখন রুশ সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। তিনটি সেতু ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় শহরটি এখন কার্যত যোগাযোগবিচ্ছিন্ন। সেখানে থাকা বেসামরিক লোকজন আটকা পড়েছেন। শেষ সেতুটিও ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোও অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
ইউক্রেনের এক কর্মকর্তা বলেন, নদী পার হয়ে শহর থেকে ইউক্রেনীয়দের সরে আসার আর কোনো পথ খোলা নেই।

সেভেরোদোনেৎস্ক রক্ষায় পশ্চিমা ভারী অস্ত্রশস্ত্রের জন্য জরুরি ভিত্তিতে আহ্বান জানিয়ে আসছে ইউক্রেন। কিয়েভ বলছে, পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস অঞ্চলের জন্য লড়াই এবং যুদ্ধের গতিপথ নিয়ন্ত্রণে শহরটি রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।
লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক প্রদেশের সমন্বয়ে দনবাস অঞ্চল গঠিত। রুশ–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এ অঞ্চল নিজেদের দাবি করে আসছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া যুদ্ধে এ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বর্তমানে সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াই চলছে।