হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা : নতুন শিক্ষা নীতি মানবে না তামিলনাড়ু

ভারতে মোদি সরকারের জারি করা নতুন শিক্ষা নীতি না মানা ঘোষণা দিয়েছে তামিলনাড়ু। তাদের দাবি, হিন্দিকে চাপিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইকে পালানিস্বামী জানিয়ে দিয়েছেন, তিন-ভাষা শিক্ষা নীতি মানবে না তামিলনাড়ু। দুই-ভাষার নীতিতে অনড় থাকবে রাজ্য সরকার।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন শিক্ষা নীতিতে ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রী মোদির উচিত তিন-ভাষা নীতি পুনর্বিবেচনা করা। রাজ্য সরকার তার দ্বিভাষা নীতি থেকে সরে আসবে না। এই পদ্ধতি রাজ্যে কয়েক দশক ধরে চলে আসছে।
দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, হিন্দিভাষী এলাকায় হিন্দি ও ইংরেজির পাশাপাশি অন্য একটি আধুনিক ভারতীয় ভাষা শিখতে হবে। অন্যদিকে হিন্দি ভাষায় কথা বলে না এমন এলাকায় হিন্দি ও ইংরেজির সঙ্গে শিখাতে হবে আঞ্চলিক ভাষা।
তামিলনাড়ুর দাবি, এভাবেই হিন্দিকে চাপিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আদেশ মানা হবে না।
নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত একটি স্টেজ করা হচ্ছে। এটিকে বলা হচ্ছে, সেকেন্ডারি স্টেজ। ফলে ওই স্টেজ চালু হলে এখনকার মতো আর দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা হবে না। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ৪ বছরের মধ্যে ৪০টি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। এর মধ্যে কিছু পরীক্ষা নেবে বোর্ড। বাকি পরীক্ষা নেবে স্কুল।
এদিকে, নয়া শিক্ষা নীতি ঘোষণার পরই হিন্দি ভাষায় কথা বলে না এমন একাধিক রাজ্যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিওয়াল জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার কোনো রাজ্যের ওপরে কোনো ভাষা চাপিয়ে দেবে না। তৃতীয় ভাষা বেছে নেবে রাজ্য সরকার।
অন্যদিকে, দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন শিক্ষা নীতিতে ব্যাপক চটেছেন ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার নতুন শিক্ষা নীতি হিন্দি ও সংস্কৃত ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সরকারের সঙ্গে মিলে লড়াই করবে ডিএমকে।