মমতার উদ্বোধনের পরই ‘মৈত্রী যাত্রার’ বাস বিকল
উদ্বোধনের পর পরই যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়েছে কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাস সার্ভিস। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে সার্ভিসটির উদ্বোধন করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য প্রশাসনিক কার্যালয় নবান্নের সামনে থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বাসের উদ্বোধন করেন। কিন্তু চালু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটির পর বাসে থাকা মমতার সফরসঙ্গী মন্ত্রী, আমলা ও সাংবাদিকরা অন্য একটি বাসে ওঠেন। কলকাতা বিমানবন্দরসংলগ্ন সুকান্তনগর এলাকা থেকে কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা রুটের অন্য একটি বাস তাঁদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
বাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপদূতাবাসের উপরাষ্ট্রদূত জকি আহাদ।
জকি আহাদ বলেন, এই যাত্রা মূলত মৈত্রী যাত্রা। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যে সম্পর্ক তা দীর্ঘদিনের পুরোনো। এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো নিবিড় হবে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক চিরকাল অটুট থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মমতা বলেন, দুই বাংলার মানুষের মন-মানসিকতা এক। সংস্কৃতি, কৃষ্টি এক। আর মাত্র একদিন পরই ভারত-বাংলাদেশ ঐতিহাসিক স্থলসীমান্ত চুক্তি সম্পন্ন হতে চলেছে। আগামী দিনে বাংলাদেশের সঙ্গে পানি ও স্থল সব ক্ষেত্রেই বন্ধুত্বের বন্ধন আরো নিবিড় হবে। এ সময় তিনি বলেন, আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ থেকে বাংলাদেশের রাজশাহীসহ বিভিন্ন রুটে বাংলাদেশের সঙ্গে বাস চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই যাত্রাকে দুই দেশের মৈত্রীবন্ধনের যাত্রা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাসটিতে যাত্রী হিসেবে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের যুব-কল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, রাজ্যের পরিবহনসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। ৪৫ আসনবিশিষ্ট বাসটি আগামীকাল শুক্রবার ঢাকায় আসবে। মমতা এ বাসে করে ঢাকায় আসছেন না। তিনি কাল বিকেলে বিমানে করে ঢাকায় পৌঁছাবেন।
৬ জুন শনিবার বিকেলে বাসটি আগরতলার উদ্দেশে ঢাকা থেকে রওনা হবে। ফিরতি এ যাত্রার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন।
গত ১ জুন কলকাতার সল্টলেকের করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাস রুটের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হয়।