বোমা হামলায় মিসরের সরকারি কৌঁসুলি নিহত

মিসরের রাজধানী কায়রোতে বোমা হামলা চালিয়ে দেশটির সরকারি কৌঁসুলি হিশাম বারাকাতকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সরকারি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, বোমা হামলায় আরো তিনজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের জঙ্গি কর্মীদের বিচারের মুখোমুখি করেন বারাকাত। এর পর থেকে জঙ্গিরা মিসরের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালানো শুরু করে।
হিশাম বারাকাতের এক দেহরক্ষী জানান, বিস্ফোরণের সময় মনে হচ্ছিল ভূমিকম্প হচ্ছে। এর আগে বারাকাতকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় জঙ্গিরা।
দেশটির বিচারমন্ত্রী আহমেদ আল-জিন্দ এএফপিকে বলেন, ‘তিনি মারা গেছেন।’ হামলার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর বারাকাতের মৃত্যু হয়।
মিসরের সরকারি বার্তা সংস্থা মেনা জানায়, জরুরি অস্ত্রোপচারের সময় বারাকাত মারা গেছেন। হাসপাতালের এক চিকিৎসা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, বারাকাতের কাঁধ, বুক ও যকৃতে বেশ কয়েকটি আঘাত লেগেছিল।
এ ঘটনায় অন্তত তিনজন বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন বলেও জানিয়েছে মেনা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণে আশপাশের বাড়ির জানালা কেঁপে ওঠে।
মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির নেতা মুরসি ২০১৩ সালের জুলাইয়ে ক্ষমতাচ্যুত হন। এর পর থেকে মিসর শাসন করছেন সেনাশাসক আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। তখন থেকে মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালায় সরকার। এতে কয়েকশ লোক নিহত হয়।
২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানির দায়ে এপ্রিলে মুরসিকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সর্বশেষ মুরসিকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।
২০১১ সালে শুরু হওয়া মোবারকবিরোধী অভ্যুত্থানে ৮৫০ জনের মতো লোক নিহত হয়। বিক্ষোভের চার বছর পর মিসরের অস্থিরতার জন্য মুসলিম ব্রাদারহুডকে দায়ী করা হয়। সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করেছে বর্তমান সামরিক সরকার।