‘উত্তপ্ত’ হংকংয়ে প্রথম সফরে চীনা প্রেসিডেন্ট

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং হংকং পৌঁছেছেন। চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এটাই তাঁর প্রথম হংকং সফর। ব্রিটিশ শাসন থেকে হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তরের ২০ বছর উপলক্ষেই শি জিং পিংয়ের এ সফর।
চীনা নেতার এই সফর স্থানীয় ও বৈশ্বিক রাজনীতিকদের ভাবিয়ে তুলছে।
শি জিং পিংয়ের এ সফরকে কেন্দ্র করে হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী বেইজিংবিরোধিরা রাস্তায় নামতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই জিং পিং সেখানে পৌঁছার আগেই অনেক সুপরিচিত বিরোধীকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রনেতা জশুয়া অংও রয়েছেন।
ফের প্রতিরোধের আশঙ্কায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। শহরজুড়ে কয়েক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সেখানে জিং পিংয়ের বক্তব্য দেওয়ার কথা আছে। এ উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান উদযাপনের পরিকল্পনা করেছে হংকং। আর এ অনুষ্ঠান উদ্বোধনের মধ্য দিয়েই ক্ষমতা গ্রহণ করবেন হংকংয়ের আসন্ন প্রধান নির্বাহী কেরি লাম।
১৯৯৭ সালে চীনের কাছে হংকংয়ের শাসনভার হস্তান্তর করে যুক্তরাজ্য। চীন ‘এক দেশ, দুই নীতি’র আওতায় হংকংকে স্বায়ত্ত্বশাসন প্রদান করে। কথা ছিল, তাঁরা কখনো হংকংয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। এখানে গণতন্ত্রের চর্চায় বহুদল অংশ নেবে, তাদের সংসদ স্বাধীনভাবে কাজ করবে। তাদের বাক-স্বাধীনতা হরণ করা হবে না।
কিন্তু অভ্যন্তরীণ বিষয়ে চীনের হস্তেক্ষপ হংকংয়ের উদার রাজনৈতিক চর্চাকে অস্বস্তি ও উদ্বেগের মধ্যে ফেলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই গণতন্ত্রকামীরা কয়েক বছর ধরে হংকংয়ের আরো বেশি রাজনৈতিক স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে।
২০ বছর উদযাপন উপলক্ষে চীনের পক্ষ থেকে হংকংকে তাদের প্রতীক বাউহিনিয়া ফুলের স্বর্ণালি ভাস্কর্য উপহার দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০১২ সালে হস্তান্তরের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে হংকং গিয়ে হাজার হাজার মানুষের প্রতিরোধের মুখে পড়েছিলেন তৎকালীন চিনা প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও। তাদের অভিযোগ ছিল, চীন তাদের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
তৎকালীন প্রধান নির্বাহী সিই লুইংয়ের পদত্যাগ ও পূর্ণ গণতন্ত্রের দাবিতে ২০১৪ সালের হংকংয়ের বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে উঠেছিল।