মোদি একা মানুষ তাই বিয়ের দাবিতে নারীর অবস্থান!

কেউ হয়তো বেশ মজা করে প্রেম করেছেন। কিন্তু বিয়ে করতে বললেই পিছুটান দিচ্ছেন। তো সেই প্রেমিকা নিজের অধিকার আদায়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনে অনশন করছেন। কিংবা লুকিয়ে বিয়ে করে পরে অস্বীকার করেছেন কোনো ব্যক্তি। এবার সেই স্ত্রী গিয়ে শ্বশুরবাড়িতে মর্যাদার দাবিতে অনশন শুরু করেছেন।
এমন ঘটনা তো প্রায়ই আমরা গণমাধ্যমে দেখতে পাই। তবে এবার যা ঘটল সেটাকে বেশ উদ্ভটই বলা যায়। বছর চল্লিশের এক নারী ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লির মানমন্দির জন্তর মন্তরের সামনে বিয়ের জন্য অবস্থান নিয়েছেন। আর যাঁকে বিয়ের জন্য তিনি এই অবস্থান নিয়েছেন তিনি আর কেউ নন, খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে অবস্থান ধর্মঘটে বসা এই নারীর নাম ওম শান্তি শর্মা। রাজস্থানের জয়পুরের বাসিন্দা ওম শান্তি শর্মার মানসিক অবস্থাও ভালো আছে বলে নিজেই জানিয়েছেন তিনি। মোদিকে বিয়ে করতে চাওয়ার পেছনে তাঁর যুক্তি হলো, নরেন্দ্র মোদি একা মানুষ। তার ওপর তাঁকে হাজারো কাজ সামাল দিতে হয়।
জন্মর মন্তরের বাইরে এক কোণায় বসে ওম শান্তি শর্মা বলেন, ‘আমি এর আগেও বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু সেই বিয়েটা বেশিদিন টেকেনি। অনেক বছর ধরেই আমি একা আছি। এর মধ্যে অনেক বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করেছি। কিন্তু এখন আমি নরেন্দ্র মোদিকে বিয়ে করতে এখানে এসেছি।’
কেন নরেন্দ্র মোদিকে বিয়ে করতে চান? চানতে চাইলে এই নারী বলেন, ‘আমি জানি নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরা আমাকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দেবে না। কিন্তু আমি এটাও জানি তাঁর সাহায্য প্রয়োজন। তিনিও আমার মতোই একা।’
ওম শান্তি শর্মা আরো বলেন, ‘যখন কেউ নরেন্দ্রি মোদিকে বিয়ে করার বিষয়টি শোনেন তখন সবাই আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করেন। তাদের আমি বলতে চাই, মোদিজিকে আমি বিয়ে করতে চাই, কারণ আমি তাঁকে সম্মান করি। আমাদের সংস্কৃতিতে ছোট বেলা থেকেই শেখানো হয় যে বড়দের সম্মান করতে হবে এবং তাঁদের কাজে সাহায্য করতে হবে। আমি আমার জায়গা থেকে সেটাই করতে চাই।’
প্রথম স্বামীর ঘরে শান্তির একটি ২০ বছর বয়সী মেয়ে আছে। সেই মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তিত নন তিনি। এ বিষয়ে ওম শান্তি বলেন, তাঁর মেয়ের নামে প্রচুর অর্থ ও সম্পত্তি আছে। তাই তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনার কিছু নেই। তিনি বলেন, ‘জয়পুরে আমার প্রচুর জমিজমা আছে। আমি সেগুলোর কিছু বিক্রি করে নরেন্দ্র মোদির জন্য কিছু উপহার কিনব বলে ঠিক করেছি। তবে যত দিন পর্যন্ত তিনি আমার সঙ্গে এসে দেখা না করবেন তত দিন পর্যন্ত আমি এভাবেই বসে থাকব।’
নরেন্দ্র মোদিকে বিয়ের জন্য বেশ কষ্টও ভোগ করতে হচ্ছে ওম শান্তিকে। খাবারের জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে আশপাশের মন্দির আর গুরুদুয়ারার ওপর। আর প্রাকৃতিক কাজ সারতে হচ্ছে যন্তর মন্তরের পাবলিক টয়লেটে।