নিজেকে সাধু প্রমাণে ভয়ংকর কাণ্ড ধর্মগুরুর

ভারতের রাজস্থান রাজ্যের চুরু জেলার স্বঘোষিত ধর্মগুরু বাবা সন্তোষ দাস। জেলাটির তরনগড় খরনাটগাঁও অঞ্চলের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর একটি আশ্রম রয়েছে। আশ্রমটিতে দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিনই ছুটে আসেন কথিত বাবার ভক্ত-অনুরাগী বহু নারী-পুরুষ। সেই ভক্তদের মধ্যে কয়েকজন নারীর সঙ্গে বাবার শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ করেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। এতে প্রচণ্ড আহত হন বাবা, মরিয়া হয়ে যান নিজেকে সাধু প্রমাণ করতে। ক্ষোভে-দুঃখে একপর্যায়ে কেটে ফেলেন নিজের যৌনাঙ্গটিই।
গতকাল মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে।
দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের দায়ে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের রোহতক জেলার সোনারিয়া কারাগারে ২০ বছরের সাজা খাটতে শুরু করেছেন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ডেরা সাচ্চা সৌদার প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং। এ নিয়ে ভারতসহ সারা বিশ্বে যখন আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে, ঠিক সে সময়ে দেশটির রাজস্থান রাজ্যে আরেক ধর্মগুরু ‘ফলাহারি বাবা’র বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন ২১ বছরের এক তরুণী। সেই মামলায় ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ভগবানের স্বঘোষিত এই প্রতিনিধিকে। এবার সেই রাজ্যে একই ধরনের অভিযোগ ওঠার পর নিজের যৌনাঙ্গ কেটে আলোচনায় এলেন ভগবানের স্বঘোষিত প্রতিনিধি সন্তোষ দাস।
রাজস্থান পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাজস্থানে সন্তোষের আশ্রমে ভক্তরা প্রতিদিন সন্ধ্যায় ধর্মীয় আসরে যোগ দেন। আর এর ফাঁকেই সন্তোষ তাঁর নারীভক্তদের যৌন হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় পবন সিংহ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, একাধিক নারীভক্তের সঙ্গে বাবার যৌন সম্পর্ক রয়েছে।
ওই অভিযোগ শোনার পর মঙ্গলবার আশ্রমের মধ্যেই নিজের পুরুষাঙ্গ ছুরি দিয়ে কেটে ফেলেন। শুরু হয় প্রচুর রক্তক্ষরণ। পরে সেই অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চুরু জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেই হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন তিনি।