শৌচাগারেই রান্না-খাওয়া!

সরকারি বাসার জন্য আবেদন করেছিলেন ভারতের ওডিশা রাজ্যের বাসিন্দা ছোটু রাউতিয়া। কিন্তু হাজার দেনদরবার করেও মেলেনি কোনো বাসা। তাই বাধ্য হয়েই একটি শৌচাগারে বাস করছেন ৫০ বছর বয়সী এই ব্যক্তি। এমনকি রান্না, খাওয়া-দাওয়াও করছেন সেখানে।
দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ১৯৯৫ সালে রাউরকেলা ইস্পাত কারখানা নির্মাণ করার সময় অধিগ্রহণ করা হয় ছোটুর পৈতৃক জমি। তাঁদের বসবাসের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় আলাদা জমি। সেখানেই একটি বাসা তুলে মা-বাবার সঙ্গে বাস করছিলেন ছোটু। সম্প্রতি তাঁর মা-বাবার মৃত্যু হয়। দুই দশক পর বেহাল অবস্থা হয় তাঁর বাবার নির্মিত বাসাটারও।
তাই ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র অধীনে একটি বাসার জন্য আবেদন করেন ছোটু। কিন্তু সেখান থেকে কোনো সাড়া না মেলায় থাকা শুরু করেন ২০ বর্গফুটের একটি শৌচাগারে। শৌচাগারটি সরকারের ‘ছোয়াচ ভারত যোজনা’র অধীনে নির্মাণ করা হয়।
ছোটু জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র অধীনে বাসা চেয়ে হতাশ হতে হয় তাঁকে। এর পর স্থানীয় বিজেপি নেতারা তাঁকে একটি মাথা গোঁজার ঠাঁই দেন। সেটিই ওই শৌচাগার।
ছোটু আরো জানান, চলতি বছরের মে মাসেই নির্মাণ সম্পন্ন হয় শৌচাগারের। তার পর থেকেই সেখানে থাকা শুরু করেন তিনি। রান্নাবান্না ও খাওয়া-দাওয়া সারেন শৌচাগারের ভেতরেই। আবহাওয়া খারাপ থাকলে ঘুমান শৌচাগারের ভেতরে। আর শৌচকর্মটা সারেন বাইরে খোলা স্থানে।