ট্যাপ কল থেকে বেরুচ্ছে রক্তের মতো লাল পানি!

পাইপলাইন দিয়ে আসছে রক্তের মতো লাল পানি। আর সেই পানি নল বেয়ে চলে যাচ্ছে এলাকার ঘরে ঘরে। যা দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। আশ্চর্য এ ঘটনা ঘটছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান পশ্চিম জেলার দুর্গাপুরে। দুর্গাপুর পৌর এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বেনাচিতর সত্যজিৎপল্লীতে ঘটেছে এই আজব ঘটনা।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, সত্যজিৎপল্লী প্রায় হাজার দশেক বাসিন্দা থাকেন। গতকাল শনিবার সকাল থেকেই ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ির কল থেকে লাল রক্তের মতো পানি পড়তে শুরু করে। যা দেখে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আজ রোববার সকাল থেকে লাল পানি আসা অব্যাহত এলাকায়। লাল পানি দেখে বাসিন্দারা পানির ট্যাপকল খুলতেই সাহস পাচ্ছেন না। ফলে এলাকায় এরই মধ্যে খাবার ও ব্যবহারযোগ্য পানির হাহাকার দেখা দিয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সুযোগ বুঝে বোতলবন্দি খাবার পানি এখন চড়া দরে বিক্রি হচ্ছে ওই এলাকায়।
এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শুক্রবার রাত থেকে অল্প অল্প লাল রঙের পানি আসতে শুরু করে পাইপলাইন দিয়ে। শনিবার সকাল থেকে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। একপর্যায়ে লাগাতার লাল রঙের পানি বের হচ্ছে ট্যাপকল থেকে। আজও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি ঘটেনি। আতঙ্কে তাঁরা ট্যাপকল খুলতেই ভয় পাচ্ছেন।
সত্যজিৎপল্লীর বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ওই এলাকাতে একটি আলতার কারখানা আছে। শুক্রবার ওই কারখানার পাশেই দুর্গাপুর নগর নিগমের পাইপলাইনের ভালব মেরামতির কাজ হয়। তার পর থেকেই লাল রঙের পানি আসা শুরু হয় পাইপলাইন দিয়ে। যদিও অনেকে এই ঘটনাকে অলৌকিক ঘটনা বলেও মনে করতে শুরু করে দিয়েছেন।
তবে আজব এই ঘটনায় দুর্গাপুর নগরের মেয়র দিলীপ অগস্তি জানান, ওই এলাকার পানি সরবরাহ হয় ট্যাংকের মাধ্যমে। পানি দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে। টানা দুদিন ধরে সমানে লাল পানি পাইপলাইন দিয়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে যাওয়ায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।
স্থানীয় কাউন্সিলর অসীমা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এ ঘটনার মধ্যে অলৌকিক কিছু নেই। শুক্রবার ওই এলাকার পানির পাইপলাইন মেরামতের কাজ হয়েছিল। তবে আলতা কারখানার রং পানিতে মিশে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ধারণা করা হচ্ছে, পুরোনো পাইপলাইনে মরচে ধরে যাওয়ায় এ লাল রঙের পানি বের হচ্ছে। তবে বিষয়টি ঠিক কী কারণে হয়েছে, প্রকৌশলীরাই বলতে পারবেন।