বৃদ্ধ ধর্মযাজককে ধর্ষণ করায় বাংলাদেশিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৭৫ বছর বয়সী এক নারী ধর্মযাজককে ধর্ষণ ও ডাকাতির দায়ে বাংলাদেশি এক তরুণকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ডাকাতির ঘটনায় সহযোগী চার বাংলাদেশি ও এক ভারতীয় নাগরিককে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ ও অর্থদণ্ড করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতার নগর ও দায়রা আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া বাংলাদেশির নাম নজরুল ইসলাম। ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া বাংলাদেশিরা হলেন ওহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সেলিম শেখ, খালেদুর রহমান ও মিলন সরকার এবং ভারতের গোপাল সরকার।
রায়ে কলকাতা নগর ও দায়রা আদালতের বিচারক কুমকুম সিংহ বলেন, একজন সন্ন্যাসিনীর সত্ত্বাকে যে চরমভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে তার জন্য দোষীর সর্বোচ্চ সাজাই প্রাপ্ত।
২০১৫ সালের ১৪ মার্চ ভোররাতে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার রানাঘাটের গাংনাপুরের একটি মিশনারি স্কুলে ঢুকে লুটপাট এবং ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধা সন্ন্যাসীকে ধর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনায় বাংলাদেশি নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে প্রমাণ পাওয়া যায়।
পাঁচ বাংলাদেশি তাঁদের সাজা কমাতে বিচারকের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু মামলার সরকারপক্ষের আইনজীবী অনিন্দ্য রাউত এর বিরোধিতা করে আদালতের কাছে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন। তারপরেই বিচারক এই সাজা ঘোষণা করেন।
বিচারক কুমকুম সিংহ জানান, দোষীদের জরিমানার অর্ধেক অর্থ ওই নির্যাতিতাকে দিতে হবে। তবে তিনি আধ্যাত্মিক জগতের মানুষ হওয়ায় অর্থ নিতে অস্বীকার করেন। এ জন্য তিনি যে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সেখানে ওই অর্থ দিতে হবে।
বিবাদীপক্ষের আইনজীবী রাজীব সিং বলেন, ‘রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পরেই আমার মক্কেলদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’