অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, জন্ম নিল ‘মৎস্যকন্যা’

রূপকথার গল্পে আমরা কম-বেশি সবাই মৎস্যকন্যার কথা শুনেছি। অর্ধেক মানবী-অর্ধেক মৎস্যের আকৃতির এই চরিত্রটি যেন এবার কল্পনার রাজ্যে ছেড়ে নেমে এসেছে ভারতের কলকাতার মাটিতে। কলকাতার বাসিন্দা মুসকুরা বিবির (২৩) কোলে জন্ম নিয়েছে এমনই এক মৎস্যকন্যা শিশু।
গত বুধবার সকালে কলকাতার চিত্তরঞ্জন দেব সদন হাসপাতালে জন্ম নেয় শিশুটি। তবে জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় তার।
সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, গর্ভাবস্থায় কোনো ধরনের স্ক্যান করেননি মুসকুরা বিবি। ফলে সম্ভাব্য শিশুর আকৃতি সম্পর্কে ধারণা ছিল না তাঁর। স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তানকে জন্ম দেওয়ার পরই প্রথম দেখেন তাকে।
মুসকুরার গর্ভে জন্ম নেওয়া শিশুটির শরীরের ওপরের দিকে অঙ্গগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল। তবে নিচের অংশে উরু থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত জোড়া লাগানো। এ ছাড়া কোনো জননাঙ্গ না থাকায় শিশুটির লিঙ্গ নির্ধারণও সম্ভব হয়নি।
হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ সুদ্বীপ সাহা বলেন, ‘মারমেইড সিনড্রম’-এ আক্রান্ত শিশুরা এই বিশেষ আকৃতিতে জন্ম নেয়। মুসকুরা ও তাঁর স্বামী শ্রমিক। অর্থের অভাবে তিনি গর্ভকালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারেননি। সে কারণেই এই অস্বাভাবিকতার সৃষ্টি হয়েছে।
সুদ্বীপ আরো জানান, প্রতি ৬০ হাজার থেকে এক লাখ শিশুর মধ্যে একটি ‘মারমেইড সিনড্রম’-এ আক্রান্ত হয়ে জন্ম নেয়। তবে তাঁর চিকিৎসক জীবনে এমন শিশু এই প্রথম দেখছেন তিনি। ভারতে দ্বিতীয়বারের মতো এ ধরনের শিশু জন্ম নিল।