ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ আলিঙ্গন, ছাত্র বহিষ্কার

নকল বা পরীক্ষায় ফেল করে নয়, একই স্কুলের এক ছাত্রীকে দীর্ঘ সময় জড়িয়ে ধরে রাখায় বহিষ্কার করা হয়েছে এক স্কুলছাত্রকে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালা রাজ্যের সেন্ট টমাস সেন্ট্রাল স্কুলে।
একাদশ শ্রেণির সেই ছাত্রীকে দীর্ঘ সময় জড়িয়ে ধরে রাখায় এখন মাশুল গুনতে হচ্ছে দ্বাদশ শ্রেণির সেই ছাত্রকে।
প্রায় পাঁচ মাস আগে এই ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়। দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা নিয়ে বর্তমানে শংকায় পড়েছে সে।
তাদের প্রতিষ্ঠানটির একটি সিঁড়ির কাছে নির্জন জায়গায় দীর্ঘ সময় জড়িয়ে ধরে থাকতে দেখা গেছে বলে জানান স্কুলের অধ্যক্ষ সেভাস্টিয়ান টি জোসেফ।
ঘটনাটিকে শুধু শুভেচ্ছা বিনিময় বলে মেনে নিতে নারাজ তিনি। অধ্যক্ষ সেভাস্টিয়ান টি জোসেফ বলেন, ‘এটা যদি শুধু শুভেচ্ছা বিনিময়ই হতো তবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তাঁরা নিজেদের কেবল তখনই ছাড়ে যখন প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষক চিৎকার করে ওঠেন। এর আগে নয়।’
এ ছাড়া দুজনকে ইন্সটাগ্রামে বেশ কয়টি ছবিতে ঘনিষ্ঠভাবে দেখা গেছে বলেও জানান অধ্যক্ষ। পরে এই ছবিগুলো তাদের বন্ধুদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা তাদের কাছে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বহিষ্কৃত সে ছাত্র বলে, ‘তাঁরা আমাকে আমার দাদির সামনে সব ধরনের গালিগালাজ করেছেন। আমি ক্ষমা চাওয়া সত্ত্বেও আমার সঙ্গে এমন আচরণ করেছেন, যেন আমি একজন ধর্ষক বা অপরাধী। আমি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাই।’ সে আরো বলে, ‘ ইন্সটাগ্রামের অ্যাকাউন্ট আমার ব্যক্তিগত। তাঁরা এটি প্রচার করে বেড়াচ্ছেন।’
ঘটনায় জড়িত সে ছাত্রীকেও বহিষ্কার করা হয়েছে বলে নিজেই জানিয়েছে সেই ছাত্রী। তবে তাকে নিজেদের ছাত্রী বলে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁদের তথ্য অনুযায়ী সে মাত্র ২০ দিন ক্লাস করেছিল। আগের স্কুল থেকে স্থানান্তরের সনদও সে আনেনি বলে জানায় তারা।
আগস্টে কেরালা রাজ্যের একটি শিশু অধিকার প্যানেল ওই ছাত্রের বাবা মায়ের অনুরোধে স্কুলটিকে তাকে ফিরিয়ে নিতে আবেদন করে। কিন্তু ডিসেম্বরে তাদের এই আবেদন নাকোচ করে দেয় তারা। তারা জানায়, তার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কেবল রাজ্যের কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওপর নির্ভর করছে। যারা রাজ্যটির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করে।
ছেলের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চাকরিও ছেড়ে দিয়েছেন এই ছাত্রের বাবা। চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রাণপণ।