যুবতীকে গণধর্ষণ করল ৫ কিশোর

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ফের গণধর্ষণের ঘটনা ঘটল।
গত বুধবার রাতে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরিতে ২০ বছরের এক যুবতীকে পাঁচ কিশোর গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবতী ও কিশোররা একই কলোনির বাসিন্দা। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন।
দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুবতীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় গণধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। এরই মধ্যে পাঁচ কিশোরকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। কিশোররা প্রত্যেকেই স্কুলছুট। তারা স্থানীয় করপোরেশনের আওতায় আংশিক সময়ের জন্য আবর্জনা ফেলার কাজ করে থাকে।
ধর্ষণের শিকার যুবতী পুলিশকে জানান, বুধবার রাত ১০টা নাগাদ তিনি কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। প্রথমে একজন পরিচিত কিশোর জাহাঙ্গীরপুরি এলাকায় একটি আবর্জনা ফেলার জায়গায় যুবতীকে থামায়। পরে সেখানে আরো চার কিশোর হাজির হয়। একপর্যায়ে তারা অস্ত্রের মুখে যুবতীকে জোর করে কাছের একটি নির্জন পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে যায়।
পরে সেখানে নিয়ে যুবতীকে জোর করে মদ পান করায় পাঁচ কিশোর। এ সময় কিশোররাও মদ পান করে। একপর্যায়ে যুবতীকে ধর্ষণ শুরু করে। এমনকি চিৎকার করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় বলে পুলিশের কাছে অভিযোগে বলেছেন ওই যুবতী।
যুবতীর আরো অভিযোগ, গণধর্ষণের পর পাঁচ কিশোর তাঁকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সেখানে আটকে রাখে। সেইসঙ্গে ঘটনার কথা পুলিশকে জানালে ভয়ংকর পরিণাম ভোগ করতে হবে বলেও শাসায়।
পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই যুবতী তাঁর এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়কে বিষয়টি জানান। এর পরই আত্মীয়কে নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী।