কনেভর্তি বাসও এলো না, ৪৬ যুবকের বিয়েও হলো না

দিল্লির পুলিশ এমন এক নারীকে খুঁজছে, যিনি সুন্দরী স্ত্রী জোগাড় করার কথা বলে অন্তত ৪৬ যুবককে প্রতারিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে ৪৬ জন অবিবাহিত যুবকের কাছ থেকে ওই নারী লাখ লাখ টাকাও হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছেন।
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের জন্মহার অনেক কম। ফলে সেখানে প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেদের বিয়ের কনে পেতে সমস্যায় পড়তে হয়। আর এ সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছেন অনিতা নামের ওই নারী।
পুলিশ জানায়, অনিতা ও সাঙ্গোপাঙ্গরা হরিয়ানার সেনেপত, জিন্দো রোহতক এলাকায় প্রায় ৪৬ জন অবিবাহিত যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা যুবকদের সুন্দরী বউ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। বিনিময়ে প্রত্যেক যুবকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নেন অনিতা। অধিকাংশের কাছ থেকে ৬০ থেকে ৯০ হাজার রুপি পর্যন্ত নিয়েছেন অনিতা। তবে কেউ কেউ ২৫ থেকে ৩০ লাখ রুপি পর্যন্ত অনিতার হাতে তুলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
অনিতা প্রত্যেককে বলেন, ২৮ ডিসেম্বর হরিয়ানার সেনেপতের খারখোড়া এলাকায় সপরিবারে প্রত্যেক যুবকদের জড়ো হতে হবে। সেখানেই আসবে সুন্দরী কনেভর্তি বাস। তারপর সবাই মিলে যাওয়া হবে দিল্লির ভিস হাজারীর এক আশ্রমে। সেখানে হবে গণবিবাহ।
অনিতার কথামতো ২৮ ডিসেম্বর সকালে হরিয়ানার ৪৬ যুবক তাঁদের বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজন নিয়ে সেজেগুজে হাজির হন খারখোড়া এলাকায়। কিন্ত ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলেও আসেনি সুন্দরী কনেভর্তি বাস।
এর পরেই বরবেশে থাকা যুবকরা অনিতার ফোনে ফোন করেন। কিন্তু সেই ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তখন তাঁরা বুঝতে পারেন, তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। এমনকি অনিতার হয়ে যেসব ব্যক্তি কাজ করছিল, তারা লাপাত্তা হয়ে যায়।
এর পরেই প্রতারিত যুবকরা হরিয়ানা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। শুরু হয় পুলিশি অভিযান। পুলিশি অভিযানে গ্রেপ্তার হয় অনিতার দুই সহযোগী। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, কমিশনের ভিত্তিতে তারা কাজ করত। অর্থের সিংহভাগই অনিতা নিজের পকেটে পুরেছেন বলেও জানায় তারা। অনিতার সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।