পশুখাদ্য কেলেংকারিতে লালু প্রসাদের কারাদণ্ড

পশুখাদ্য কেলেংকারি মামলায় ভারতের বিহার রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) প্রধান লালু প্রসাদ যাদবের সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন সিবিআই আদালত। সেই সঙ্গে পাঁচ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। আজ শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে ৪টার দিকে এই রায় ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, রাঁচির বিরসা মুন্ডা জেলে বসেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই নিজের সাজার ঘোষণা শোনেন লালু প্রসাদ। জরিমানার পাঁচ লাখ রুপি দিতে না পারলে লালু প্রসাদকে আরও ছয় মাস জেলে কাটাতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।
পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকে জেলেই ঠিকানা হয়েছে লালু প্রসাদের। লালু প্রসাদের আইনজীবী আগেই আদালতে আবেদন করেন, তাঁর মক্কেল লালু প্রসাদ যাদবের শারিরীক অবস্থা খারাপ। তাঁর ডায়াবেটিস রয়েছে, রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। শনিবার তাঁর জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা হয়েছিলো। এজন্য তাঁকে নূন্যতম শাস্তি দেওয়া হোক।
লালু প্রসাদ আদালতের কাছে দাবি জানান, পশুখাদ্য কেলেংকারিতে তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন না। ফলে তাঁর বয়স ও শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনায় নেওয়া হোক।
লালু প্রসাদের সাজা ঘোষণার পর আরজেডির রাজনৈতিক পরিকল্পনা করতে লালু প্রসাদের স্ত্রী রাবড়ি দেবী সরকারি বাসভবনে এক বৈঠকে বসেন দলীয় নেতাদের সঙ্গে।
রায় শোনার পর লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। হাইকোর্টে তাঁরা লালু প্রসাদের জামিনের আবেদন জানাবেন। তিনি বলেন, হাইকোর্টে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জামিন পাবেনই। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তারা খুব শিগগিরই উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও জানান। এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলেও মন্তব্য করেন তেজস্বী যাদব।
লালু প্রসাদ ছাড়াও এই মামলায় অন্যতম দোষী ফুল চাঁদ, মহেশ প্রসাদ, বেক জুলিয়াস, সুনীল কুমার, সুশীল কুমার, সুধীর কুমার এবং রাজা রামের সাড়ে তিন বছরের জেল ও পাঁচ লাখ রুপি করে জরিমানা হয়। গত ২৩ ডিসেম্বর পশুখাদ্য মামলার রায়ে দোষী সাব্যস্ত হন লালু প্রসাদসহ ১৬ জন।