খালে পড়ে ছিল কিশোরীর অর্ধনগ্ন লাশ

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে দলিত সম্প্রদায়ের এক ১৫ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুরুক্ষেত্রে জেলায় ঝাসা এলাকার ওই কিশোরী গত ৯ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল। পরে ১১ জারুয়ারি তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
কুরুক্ষেত্র জেলার স্থানীয় রোহতকের পিজিআইএমএসের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান এস কে দত্তারবল জানিয়েছেন, ওই কিশোরীর দেহে মোট ১৯ জায়গায় ক্ষতচিহ্ন ছিল। মুখ, মাথায়, বুক ও হাতেই বেশি ক্ষত দেখা যায়। কিশোরীর ফুসফুস ফেটে গেছে। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সম্ভবত কেউ ওর বুকের ওপর বসে পড়ার ফলে এটা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গোপনাঙ্গেও কিছু ঢুকিয়ে দেওয়ার ফলে মারাত্মক ক্ষত হয়েছে। সম্ভবত তিন থেকে চারজন মিলে ওই কিশোরীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়।’ এরপর কিশোরীকে পানিতে ফেলে দেওয়া হয় বলেও ময়নাতদন্তে জানা গেছে।
জেলা পুলিশ সুপার অভিষেক গর্গ জানিয়েছেন, দশম শ্রেণির ওই কিশোরীকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় বুধখেদা গ্রামের কাছে রাজওয়াহা এলাকা থেকে উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের পর হত্যা করে কিশোরীটির দেহ একটি খালে ফেলে দেওয়া হয়।
ওই কিশোরীকে শেষবার তাদের গ্রামেরই ২০ বছর বয়সী এক তরুণের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওই তরুণের যোগসূত্র আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা, অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।