পরমাণু হামলায় সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত

দূরপাল্লার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পারমাণবিক হামলা হানতে সক্ষম অগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ভারতের সবচেয়ে আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ভারতের স্থানীয় সময় আজ সকালে ওডিশা রাজ্যের পূর্ব দিকের আবুল কালাম দ্বীপ থেকে ছোঁড়া হয় ক্ষেপণাস্ত্রটি।
মন্ত্রণালয়ের এক টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার জন্য বড় মাইলফলক। এটি ৫৫০০ থেকে ৫৮০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম।
যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের ধারণা, ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারে ১২০ থেকে ১৩০টি পরমাণবিক অস্ত্র (ওয়ারহেড) রয়েছে। অন্যদের ক্ষেত্রে এ সংখ্যাটি হাজার হাজার।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিপিন নারাং বলেন, আজকের এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ কোনো নতুন কোনো সক্ষমতার কথা বলছে না। এটা কেবল একটি পরীক্ষা।
এটাকে ভারত সেনাবাহিনীর নিয়মিত প্রযুক্তিগত মহড়া বলেই মনে করেন এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, হতে পারে ক্ষেপণাস্ত্রটির সক্ষমতা, সঠিক সময় উৎক্ষেপণ করতে পারে কি না, কতক্ষণের মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এসবই আজ পরীক্ষা করা হয়েছে।
সবশেষ ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম এটির সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়। এর আগে ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে ‘ওপেন কনফিগারেশনে’ অগ্নি ৫-এর প্রথম পরীক্ষা করা হয়। এরপর ২০১৩ সালে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করা হয় এই পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের। ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে তৃতীয়বার পরীক্ষা করা হয় অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের।
জানা যায়, অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি, যা বহু দূরের সঠিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এর দৈর্ঘ্য ১৭ মিটার, প্রস্থ ২ মিটার। উৎক্ষেপণের সময় এটির ওজন ছিল প্রায় ৫০ টন।