ফোনে কথা বলছিলেন চালক, যাত্রীবোঝাই বাস পড়ল খালে

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার দৌলতাবাদে একটি যাত্রীবাহী বাস সেতুর রেলিং ভেঙে খালে পড়ে গেছে। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরো ৫০ জন।
নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে চারজনকে। যাত্রীদের অভিযোগ, চালক মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে বেপরোয়া গতিতে বাস চালাচ্ছিলেন। এ কারণেই ঘটে এই দুর্ঘটনা।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মুর্শিদাবাদের করিমপুর থেকে মালদাগামী বাসটি দৌলতাবাদের বালিরঘাটের কাছে নলিনী বাস্কে সেতুতে ভেঙে পড়ে যায়।
ঘটনার পরপর পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধারকাজ শুরু করে। নৌকা দিয়ে চলছে তল্লাশি অভিযান। কলকাতা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ডুবুরি দলকে। খালের গভীর পানিতে ডুবে যাওয়া যাত্রীবোঝাই বাসটি আটকে রয়েছে বলে জানা গেছে। বাসটিকে তুলতে নিয়ে আসা হয়েছে তিনটি ক্রেন।
এদিকে সকালে দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজ শুরু করতে পুলিশ প্রশাসন দেরি করার অভিযোগে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। ক্ষুব্ধ লোকজন পুলিশের দুটি গাড়ি ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে পুলিশ।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর জানার পরেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীসহ পরিবহন দপ্তরের কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানান, কুয়াশার মধ্যে সেতুর ওপর একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়েই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
যদিও দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অভিযোগ, বাসটি অতি দ্রুতগতিতে চালানোর পাশাপাশি চালক মুঠোফোনে কথা বলছিলেন। সেতুর ওপর বাসটি উঠতেই চালক ফোনে অন্যমনস্ক হয়ে যাওয়ায় বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।