কলকাতায় তিস্তার পানি চাইলেন নূর

সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর বলেছেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ছিটমহল সমস্যা মিটেছে, গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তিও হয়েছে। এবারে তিস্তাসহ অন্য বকেয়া সমস্যাগুলোও আলোচোনার মাধ্যমে মিটে যাবে বলেই আমার বিশ্বাস।’
ভারতের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার মঞ্চে দাঁড়িয়ে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এসব কথা বলেন আসাদুজ্জামান নূর।
এ সময় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, ‘এখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী রয়েছেন। বাংলাদেশ চায় তিস্তার পানি নিয়ে চুক্তির ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায়।’
যদিও তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলেননি পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করার এখতিয়ার আমার নেই। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। সেই আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছে।’
সুব্রত মুখোপাধ্যায় আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ আয়তনে ভারতের থেকে ছোটো হলেও আমাদের কাছে বড় আদরের দেশ বাংলাদেশ। আমাদের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বোনের মতো স্নেহ করেন। বাংলাদেশের জন্যই আজ বাংলা ভাষা স্বীকৃতি পেয়েছে বলেও মনে করি। এই বইমেলা দুই বাংলাকে একসঙ্গে মিলিয়েছে। এক সময় বইয়ের প্রতি মানুষের আকর্ষণ কমে এলেও বইমেলার মাধ্যমে তা ফিরে এসেছে।’
আসাদুজ্জামান নূর আগামী বছর থেকে কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের জন্য আরো বেশি জায়গা দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কারণ মাত্র ৪২টি স্টল দিয়ে বাংলাদেশকে বোঝানো সম্ভব নয়।’ বইমেলা ছাড়াও সারা বছর যাতে কলকাতায় বাংলাদেশের লেখকদের বই পাওয়া যায়, তার জন্য গিল্ড কর্তাদের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।
বাংলাদেশের নারী ও শিশু কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকিও তিস্তাসহ বকেয়া সমস্যাগুলো মেটানো জন্য এদিন বইমেলার মঞ্চে দুই দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদদের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইব্রাহিম হোসেন খান, কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বুক সেলার্স অ্যান্ড গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল সমিতির সভাপতি মাজাহারুল ইসলাম।