বাংলাদেশি অনুপ্রবেশে পাকিস্তানের ইন্ধন : ভারতীয় সেনাপ্রধান

ভারতের সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত দাবি করেছে, তাঁর দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের রাজ্যগুলোতে অশান্তি জিইয়ে রাখতে চীনের সাহায্যে পাকিস্তান ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে। আর তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে সেখানে পরিকল্পিতভাবে অনুপ্রবেশ হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে মুসলিমদের অনুপ্রবেশে মদদ দিচ্ছে পাকিস্তান।
বিপিন রাওয়াত বলেন, পাকিস্তান পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করছে। কারণ পাকিস্তান চাইছে ভারতের সীমান্তে সবসময় অস্থিরতা তৈরি হোক। আর পাকিস্তানের এই কাজে সহযোগিতে করছে চীন। ভারতের মাটিতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসামে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ বরাবরই একটি জরুরি ইস্যু। যে কারণে আসাম রাজ্য সরকার সেখানে বেআইনি বসবাসকারীদের চিহ্নিত করতে নাগরিকদের তালিকা বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সেনাপ্রধান বলেন, ২০০৫ সালে গড়ে ওঠা বদরুদ্দিন আজমলের নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফোরাম দ্রুত গতিতে বাড়ছে। বর্তমানে ওই ফোরামের তিন সাংসদ ও ১৩ বিধায়ক। আসামে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম-অধ্যুষিত জেলার সংখ্যা পাঁচ থেকে বেড়ে হয়েছে নয়। আসলে পশ্চিমের প্রতিবেশীরা পরিকল্পনামাফিক ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে একদিকে যেমন বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশে মদদ জোগাচ্ছে, তেমনি সীমান্ত এলাকায় অশান্তি বাঁধিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। যাতে মূল মদদ দিচ্ছে চিন।
ভারতের সেনাপ্রধান বলেন, প্রতিবেশী পাকিস্তান ও চীনের মদদে বাংলাদেশ থেকে যে হারে অনুপ্রবেশ ঘটছে তার অন্যতম কারণ হলো বাংলাদেশে বন্যাসহ নানা কারণে জমির পরিমাণ কমে যাওয়া।
তবে ভারতের সেনাপ্রধানের এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে সরব হয়েছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেন, সেনাপ্রধান রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক কথা বলছেন। যদিও সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত দাবি করেছেন, তিনি রাজনৈতিক বা সাম্প্রদায়িক কথা বলেননি। দেশের সুরক্ষার প্রশ্নেই এ কথা বলেছেন।