৫ বাংলাদেশি ‘জলদস্যু’ পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাঁচ বাংলাদেশি ‘জলদস্যু’কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে কুলতলি থানার কৈখালি জঙ্গল থেকে এদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনের কাছ থেকে পাঁচটি গুলিভর্তি বন্দুক, একটি দেশি পিস্তল ও সাতটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে সাতটি বোমা, একটি মোবাইল ফোন ও তিনটি বাংলাদেশি সিমকার্ড। আটক পাঁচজন হলেন বাংলাদেশি জলদস্যুরা হলেন মহম্মদ আবদুল রহমান মোড়ল (৪৩), মিসবা গাজী (২৬), জহির শেখ (১৯), আবদুল্লাহ আল মামুন (১৯), জাহাঙ্গীর আলম গাজী (১৯)। তাঁদের বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার বিভিন্ন এলাকায়।
শুক্রবার গভীর রাতে গোপনসূত্রে খবর পেয়ে রাত দেড়টা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ ও কুলতলি থানার পুলিশ একযোগে অপারেশন চালায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন মাতলা নদীতে। কুলতলির কৈখালি জঙ্গলের কাছে একটি শ্মশানঘাটের পাশে মাতলা নদী থেকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় ওই পাঁচ বাংলাদেশি জলদস্যুকে। এদিন বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের নেতৃত্ব দেন বারুইপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লক্ষ্মীকান্ত বিশ্বাস।
এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার অরিজিত সিনহা বলেন, চলতি বছরের গত ২৩ মার্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন সন্নিহিত পিরখালির চার নম্বর জঙ্গল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চার বাংলাদেশি জলদস্যুকে। সেই সময় অনেকে পালিয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে তারা পালিয়ে পালিয়ে ঘুরছিল। এদিন সেই পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি জলদস্যুদের একটি অংশ ধরা পড়েছে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, মূলত এই বাংলাদেশি জলদস্যুরা ভারতীয় অংশের বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন নদীতে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের টার্গেট করতেন। তাঁদের থেকে মাছ এবং মাছ ধরার সামগ্রী লুট করতেন তারা। এরপর সেগুলি ভারতের একটি চক্রের কাছেই অল্প দরে বিক্রি করে দিয়ে তারা ফের বাংলাদেশে ফিরে যেতেন। তবে এদিনের অভিযানে ওই বাংলাদেশি জলদস্যুদের মূল হোতা পালিয়ে যায় বলে পুলিশ সূত্র জানা গেছে। তার খোঁজে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন বিভিন্ন নদীতে চলছে তল্লাশি। বাংলাদেশি পাঁচ জলদস্যুর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন, অনুপ্রবেশ এবং ডাকাতিসহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে।