মসলা মেলার বয়স ১৯৬ বছর!

পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসে মসলা মেলা। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার গোবরডাঙায় ওই মেলা বসে। মেলায় পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের মসলা ও ডাল।
১৯৫ বছর ধরে নিয়মিত বসছে ওই মসলা মেলা! চলতি বছর ওই মেলার বয়স হয়েছে ১৯৬ বছর!
১৮২২ সাল থেকে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গার জমিদার বাড়ি পাশে পার্ক ও যমুনা নদীর তীরে একটি মাঠে বসে এই মেলা। প্রতি বছর বৈশাখের প্রথম দিনেই শুধু মেলাটি বসে।
জানা যায়, গোবরডাঙ্গার জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা খেলারাম মুখোপাধ্যায় প্রথম এই মেলার সূচনা করেন। মানুষের মুখে মুখে এই মেলার নাম মসলা মেলা নামে পরিচিত।
এখানে প্রতি বছর পয়লা বৈশাখের দিনে গ্রামের কৃষকরা বিভিন্ন রকমের ডাল, হলুদ, আদা, পেঁয়াজ, রসুন, জিরাসহ হরেক পদের মসলা নিয়ে হাজির হন।
এই মেলাতে অংশ নেওয়া বিক্রেতারা জানান, এত বড় মসলা মেলা রাজ্যের মধ্যে আর কোথাও হয় বলে তাঁদের জানা নেই। এখানে একদিকে যেমন মেলা প্রাঙ্গণে এসে হরেক রকমের ডালশস্য ও মসলা পাওয়া যাচ্ছে, তেমনি দামটাও অনেকটাই কম। ফলে বছরের প্রথম দিনে অল্প পয়সায় মসলা সংগ্রহ করতে ভিড় জমে উঠেছে ওই মেলায়।
এই মেলার অন্যতম উদ্যোক্তা পবিত্র কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রথম মেলা চালু হওয়ার পর ভারতে সিপাহী বিদ্রোহ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তির মতো অনেক ঐতিহাসিক ঘটনাই ঘটেছে। কিন্ত একবারের জন্যও কখনো বন্ধ হয়নি এই ঐতিহ্যবাহী মেলা।
স্থানীয় বিক্রেতারা জানালেন, বাংলা বছরের প্রথম দিনটি যাতে বিক্রিবাট্টা ভালো হয়, সেই আশাতেই অল্প দামে এই মেলায় এসে পসরা সাজিয়েছে তারা। তাদের বিশ্বাস, বছরের প্রথম দিনটায় যদি ভালো ব্যাবসা করা যায় ,তাহলে সারা বছর বিক্রিবাট্টা ভালোই হবে।
এই মেলায় পশ্চিমবঙ্গ ছাড়িয়ে ভারতের অন্যান্য রাজ্য এমনকি বাংলাদেশ থেকেও অনেক পর্যটক এসে রকমারি মসলা ও ডাল কেনেন।